স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও হন্যে হয়ে ঘুরতে হল চিকিৎসার জন্য। একেরপর এক বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরিয়ে দিল চিকিৎসা না করিয়েই এমনই চিত্র দেখা গেল শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার প্রমোদ নগরে। জানা গেছে কিছুদিন আগেই লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বানিয়েছিল মহম্মদ গফরের পরিবার। হঠাৎ কিছুদিন আগেই স্ট্রোক হয় মহম্মদ গফরের। এরপরই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে শিলিগুড়ির একাধিক হাসপাতালে ঘুরলেও চিকিৎসা পরিষেবা মেলেনি এমনটাই অভিযোগ পরিবারের সদস্যের। ফলস্বরূপ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয় ওই বছর পয়ষট্টির ওই প্রৌঢ়ের। এই ঘটনায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ফের একবার প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিল এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিরোধীর।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত না হলে বেসরকারি হাসপাতালগুলির লাইসেন্স বাতিল করা হবে ৷ এমনকী পরিষেবা না পেলে কার্ড গ্রাহকদের এফআইআর করারও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি শাসক দলের অন্য নেতারাও স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে ও মিলবে বলে দাবি করছেন ।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি শহরের একাধিক সরকারি ও হাসপাতালে যাওয়া হলেও পরিষেবা মেলেনি । এরপর কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় পৌঢ় মহম্মদ গফফারের (65) ৷ যদিও দু’সপ্তাহ আগেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড করেছিল পরিবারটি । রোগীর পরিবারের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কার্ড দেখো মাত্র তাঁদের ফিরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ । শেষে রোগীকে বাড়িতেই ফিরিয়ে আনা হয় ৷ মঙ্গলবার রাতেই মারা যান মহম্মদ গফফার । ঘটনার পরই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা তথা স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা ।রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে যিনি তালিকাভুক্ত তাঁকে পরিষেবা দিতেই হবে ৷ এমন অভিযোগ যদি পাই তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো ব্যবস্থা নেব ৷”