অবশেষে সমস্যা মিটলো নিট পরীক্ষা নিয়ে৷ স্নাতক স্তরের অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকার ফল প্রকাশের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ ফল প্রকাশ করতে পারবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি৷ বম্বে হাইকোর্টের ফলপ্রকাশ স্থগিতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি সর্বোচ্চ আদালতের৷
১২ সেপ্টেম্বর স্নাতক স্তরে অভিন্ন প্রবেশিকা নিট পরীক্ষা হয়েছিল৷ সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে বম্বে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করে৷ সেই নির্দেশের উপরেই আজ সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে৷ পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-কে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, স্নাতক স্তরের অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকার ফল প্রকাশ করতে হবে৷ অর্থাৎ ফল প্রকাশে আর কোনও বাধা রইল না৷
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের নিট পরীক্ষায় প্রায় ১৬ লক্ষ ছাত্রছাত্রী অবতীর্ণ হয়েছিলেন৷ কিন্তু তাঁদের ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছিল বম্বে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের নির্দেশে৷ ফল প্রকাশ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা৷ আজ সুপ্রিম কোর্টে সেই বিষয়টি নিয়ে শুনানি হয়৷ ফল প্রকাশের উপর যে স্থগিতাদেশ ছিল, তার উপরেই স্থগিতাদেশ জারি করেন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ৷
উল্লেখ্য, ভুল ক্রমিক নম্বর সহ প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্র দেওয়ার অভিযোগ তুলে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই পড়ুয়া বৈষ্ণবী ভোপালি এবং অভিষেক শিবাজি। ২০ অক্টোবর এই মামলার শুনানির সময় বম্বে হাইকোর্ট জানায়, বৈষ্ণবী ভোপালি এবং অভিষেক শিবাজির জন্য আবারও পরীক্ষা নিতে হবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে। ৪৮ ঘণ্টা আগে তাঁদের জানাতে হবে। দুই সপ্তাহের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হবে। সেই সময়েই বাকি পরীক্ষার্থীদের ফলাফলও প্রকাশ করা হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার বম্বে হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায়। আবেদনে তারা বলে, এনটিএ পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত থাকলেও নিট-এর ফলাফল প্রকাশ করতে পারবে না। ফলপ্রকাশে দেরি হলে স্নাতক মেডিক্যালে ভর্তির উপর তার প্রভাব পড়বে।
এদিন বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ বম্বে হাইকোর্টের ফল প্রকাশের উপর সাময়িক স্থগিতাদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে৷ এই মামলায় এনটিএ-র হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। এই মামলায় তাঁর বক্তব্য বিবেচনা করেছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। সেই সঙ্গে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ফল ঘোষণা করতে পারবে বলেও তাঁরা নির্দেশ দেন৷ সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ওই দুই পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই বিষয়ে দীপাবলির ছুটির পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ তবে এর জন্য ১৬ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর ফল আটকে রাখা যায় না৷