শুখার মরশুম হোক অথবা বন্যা, পুরাতন মালদা ব্লকের মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে চাষীদের দুর্ভোগ সারাবছরই রয়েছে

শুখার মরশুম হোক অথবা বন্যা, পুরাতন মালদা ব্লকের মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে চাষীদের দুর্ভোগ সারাবছরই রয়েছে। তীব্র দাবদহের মধ্যে যেমন জমিতে সেচ ব্যবস্থায় পেতে নাজেহাল হতে হচ্ছে কয়েকশো চাষীদের । ঠিক তেমনই বন্যার সময় আশেপাশের খাল বিলের জলে ডুবে থাকছে চাষের জমি । এই অবস্থায় মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবগঞ্জ, বিধানগর, চরলক্ষ্মীপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকার শতাধিক চাষীদের সমস্যার কথা শুনলেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু । বুধবার দুপুরে মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী গোপাল চন্দ্র সাহাকে সঙ্গে নিয়ে মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজবাড় সহ ওই গ্রামগুলিতে গিয়েছিলেন নির্বাচনী প্রচারে । সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুভলক্ষী গাইন, সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উকিল মন্ডল সহ অন্যান্যরা। বিজেপি সাংসদ ও দলীয় প্রার্থীকে কাছে পেয়ে স্থানীয় কৃষকেরা তাদের এই দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। কি করে এই সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব, তা নিয়েও সাংসদ খগেন মুর্মু কৃষকদের সঙ্গে মত-বিনিময় করেন।
বুধবার দুপুরে তীব্র দাবদহের মধ্যে মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী গোপাল চন্দ্র সাহা। উত্তর মালদার সাংসদকে সঙ্গে নিয়ে যখন নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় ওইসব গ্রামের চাষীরা তাদের সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেন সাংসদ এবং প্রার্থীর কাছে। চাষিরা বলেন, এখন শুখা মরশুম শুরু হয়েছে। তীব্র দাবদহের কারণে আশেপাশের খাল-বিল শুকিয়ে গিয়েছে। জমিতে সেচের সমস্যায় চাষবাস করতে দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এই অবস্থায় সমস্যা সমাধানের জন্য সাংসদকে অনুরোধ জানান চাষীরা।
যদিও উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, চাষিরা বলার আগেই আমি প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন এলাকা গুলি ঘুরে দেখেছি। ওইসব এলাকার কৃষকদের দুর্ভোগের সমস্যার কথা শুনেছি । সাহাপুর এবং মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্যরাও ছিলেন আমার সাথে । এই এলাকায় সেচ ব্যবস্থার নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে। তা এদিন তদারকি করে দেখেছি। এলাকার কৃষকেরা আমাকে অনেকবার এখানকার চাষবাস নিয়ে সমস্যার কথা বলেছিলেন। শুখা মরশুমে যেমন সেচ ব্যবস্থায় সমস্যা রয়েছে। আবার বন্যার মরসুমে অনেক সময় চাষযোগ্য জমিগুলো ডুবে যাচ্ছে । এই অবস্থায় প্রশাসনের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন। চাষীদের এই সমস্যার সমাধানের জন্য দ্রুত প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এদিন ওইসব গ্রামের কৃষকেরা বলেন , কৃষি কাজ করেই তাদের জীবন-জীবিকা চলে । কিন্তু এখন শুখা মরশুম শুরু হতেই সেচ পাওয়া নিয়ে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এলাকার খাল-বিল গুলি শুকিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে জমিতে সেচ ব্যবস্থা করলে খুব ভালো হয়। কিন্তু নির্বাচন চলছে, এই পরিস্থিতিতে কীভাবে তাদের সমস্যা মিটবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। এলাকায় সাংসদ এসেছিলেন বিজেপি প্রার্থীও ছিলেন। তাদের সামনে আমাদের কৃষিকাজের সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেছি । উনাদের বলেছি যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি প্রশাসনকে জানান ।
উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন , রাজবাড় সহ কয়েকটি গ্রামের অনেক চাষীরা তাদের কৃষিকাজের সমস্যার কথা আমাকে বলেছিলেন। সেদিকে লক্ষ্য রেখে এদিন আমি নিজের থেকে এসেছি। এবং তদারকি করেছি। কৃষি কাজের ক্ষেত্রে চাষীদের একটা সমস্যা রয়েছে। তাই এদিন নির্বাচনী প্রচারে থাকে বিধানগড়, শিবগঞ্জ , চরলক্ষ্মীপুর এলাকাগুলো ঘুরে দেখেছি। যেখানে কৃষিকাজের সেচ ব্যবস্থায় সমস্যার রয়েছে সেগুলি যাতে দ্রুত সমাধান হয় সে ব্যাপারে খুব শীঘ্রই প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।