শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালগুলিতে আর বেড ফাঁকা নেই, চিন্তায় স্বাস্থ্যদপ্তর

আনলক ফাইভ পর্বে দেশের সমস্ত ক্ষেত্র খুলে গিয়েছে। রাজ্যে নেই আর লকডাউন। করোনা আছে খবরে আর মানুষ বেরোচ্ছে রাস্তায়, রুটিরুজির টানে । দীর্ঘ টানা সাত-আটমাস ধরে করোনায় একদিকে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি আরেকদিকে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের লড়াইয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ । এমনটা যে হচ্ছে এটা অস্বীকার করবেন না কেউ। রাজ্যের সমস্ত জায়গায় যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে তার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে শিলিগুড়িতে । শিলিগুড়িতে কোভিড চিকিৎসায় সরকারি ভাবে বরাদ্দ যে দুটি হাসপাতাল রয়েছে সে দুটি হাসপাতালে আর কোনো বেড ফাঁকা নেই ।

সূত্রের খবর ডিসান কোভিড হাসপাতালে ১০০ টি বেডের মধ্যে আর তিন-চারটি বেডই ফাঁকা রয়েছে। চ্যাং কোভিড হাসপাতালের অবস্থাও একই। এই অবস্থায় শিলিগুড়িতে গত একসপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশো ছাড়িয়েছে। এই তথ্য সামনে আসতেই চিন্তায় স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রশাসন। এই সংক্রমণ আসন্ন পুজোর সময় যে আরো বাড়বে তার আগাম অনুমান করে চিন্তায় বিশেষজ্ঞ মহল। যে হারে করোনা সংক্রমণ ঘটছে শিলিগুড়ি সহ সমগ্র দার্জিলিং জেলায়।তাতে কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবা কোথায় দেওয়া হবে বা কিভাবে হবে তা নিয়ে আশঙ্কা করছেন মেডিকেল কলেজের অনেক কর্তা। কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্য অধিকর্তা সুশান্ত রায় আশঙ্কা করছিলেন পুজোর আগে করোনা মারাত্মক আকার নিতে পারে। পুজোর আর দুসপ্তাহ বাকি নেই ।এমত অবস্থায় শিলিগুড়িতে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটাই ভেবে কুল পাচ্ছেন না স্বাস্থ্য কর্তারা।