শপথ নেওয়ার পরই কোভিড মোকাবিলায় ঝাঁপাবেন, বললেন চাঁচল বিধানসভা কেন্দ্রের জয়ী বিধায়ক নীহার ঘোষ। চাঁচল বিধানসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। নির্বাচিত হওয়ার পর পরিবর্তন দেখা গেল তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে অনুসরণ করে হাওয়াই চটি ধরলেন নীহার। বললেন, ‘এটাই আমার এখন থেকে সঙ্গী।’ বুধবার চাঁচল থেকে ইংলিশবাজার শহরে ঢুকে সোজা চলে আসেন প্রেস কর্ণারে। সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় মেতে ওঠেন তিনি। নির্বাচনে তাঁকে কীভাবে পরিশ্রম করতে হয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরেন। বৃহস্পতিবার সড়ক পথে কলকাতায় রওনা হবেন। শুক্রবার বিধায়ক পদে শপথ নেবেন তিনি। শুক্রবার গুরুবার বলেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবদার করেছিলেন শপথ নেওয়ার জন্য। সেটা মঞ্জুর হয়েছে। নীহার বলেন, ‘চাঁচলের মানুষ তাঁকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাঁচলে পুরসভা করা এখন আমার প্রধান কাজ। গত কাল ববিদার(ফিরাদ হাকিম) সঙ্গে কথা বলেছি। চাঁচল পুরসভার কথা বলতেই ববিদা নিজেই বললেন, সব মনে আছে। প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে আসতে বলেছেন।’ নীহার জানান, ‘পুরসভা ছাড়াও চাঁচলে একটি ল কলেজ, পানীয় জলের সুব্যবস্থা-সহ অনেক কাজ করতে হবে। সেই কাজগুলি আমি করবো। জেলা ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে চাঁচলে শিল্প তালুক করার দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়টি মুখ্যনমন্ত্রীর নজরে নিয়ে আসবো।’ নীহার বলেন, ‘এই মুহুর্তে আমাদের সবাইকে কোভিড ঠেকাতে হবে। নির্বাচনের কারণেই ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসকের পদ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। ইংরেজবাজার পুরসভার করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশ এলে ইংরেজবাজার শহরে করোনা মোকাবিলায় ঝাঁপাবো। মালদা প্রেস কর্ণারকে ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ার কথা জানিযেছেন তিনি। এই অক্সিজেন শুধু সাংবাদিক ও তাঁদের পরিবারের জন্য ব্যবহার করা যাবে। বলা বাহুল্য, জেলার ১২টি বিধানসভার মধ্যে ৮টি দখল করেছে তৃণমূল। ইংরেজবাজার ছেড়ে ৬৫ কিলোমিটার দূরে চাঁচল থেকে দাঁড়িয়ে জিতে এসেছেন নীহার ঘোষ। মালদা জেলা থেকে দু’জন মন্ত্রী দেওয়ার দাবি করেছেন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু।