পিএনবি প্রতারণায় অভিযুক্ত মেহুল চোক্সীকে এখনই প্রত্যর্পণ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল ডোমিনিকার আদালত। শুধু তাই নয়, তাঁকে আইনি সহায়তা নেওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে মেহুলের প্রত্যর্পণের বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ২৩ মে অ্যান্টিগা থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান মেহুল। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল অ্যান্টিগা প্রশাসন। চাওয়া হয়েছিল ইন্টারপোলের সাহায্যও। মনে করা হচ্ছিল কিউবাতে পালিয়ে গিয়েছেন মেহুল। কিন্তু তাঁকে বুধবার ডোমিনিকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। অ্যান্টিগা সরকার মেহুলকে সরাসরি ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলে ডোমিনিকাকে। তবে বিষয়টি ডোমিনিকা আদালতে পৌঁছেছে। সেখানে মেহুলের আইনজীবী বলেছেন, তাঁর মক্কেল আর ভারতের নাগরিক নন, ফলে তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না।
বিষয়টি আদালতের অধীনে চলে যাওয়ায় আপাতত হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি আরও মন্থর হল বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার মেহুলকে আদালতে তোলা হবে। আদালত কী রায় দেয়, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ভারত সরকার। যদিও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালিয়ে দ্রুত মেহুলকে ভারতে নিয়ে আসার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
মেহুলকে ভারতে নিয়ে আসার বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু হতেই ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রতারণা কাণ্ডে অভিযুক্ত ললিত মোদী, নীরব মোদী, বিজয় মাল্যদের বিষয়ে কী হবে, তা নিয়েও জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে নানা মহলে। বিসিসিআই-এর ৭৫৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে ললিতের বিরুদ্ধে। ২০১০ সালে দেশ ছেড়ে পালান ললিত। শেষ খবর অনুযায়ী তাঁকে লন্ডনে বসবাস করতে দেখা গিয়েছিল। পিএনবি প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত নীরব এখন লন্ডনের জেলে। ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক প্রতারণা আর এক অভিযুক্ত বিজয়ও এখন ব্রিটেনে। তাঁর প্রত্যর্পণের আইনি প্রক্রিয়া চলছে।