ভিড় ঠেকাতে ধরে ধরে কোভিড টেস্ট করার নিদান দিল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের অফিসার সুশান্ত রায়। মালদায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পুজোর মুখে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ভিড় জায়গাগুলিতে রেপিড এন্টিবডি টেস্ট করার পরামর্শ দিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে। আনলক ফাইভ এর নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে বাজার-ঘাট খুলে গিয়েছে ।আসন্ন পুজো উপলক্ষে বাজারে শপিংমলে কেনাকাটা চলছে ভালোই। অভিযোগ অনেক মানুষ এখনো মাস্ক পড়ছে না। এদিকে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে বলে স্বয়ং স্বীকার করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্য স্বাস্থ্য কর্তারা। তাই এবার পুজোয় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ।
এই পরিস্থিতিতে উপচে পড়া ভিড় ঠেকাতে ক্রেতাদের ধরে ধরে করোনা পরীক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন সুশান্ত রায় । অনুষ্ঠানে কিভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে এবং করোণা সংক্রমণ ঠেকাতে পুজো করতে হবে, সেই সব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পুজো কমিটিকে পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য দপ্তর এবং প্রশাসনের কর্তারা । পাশাপাশি উপস্থিত পুজো কমিটির কর্তাদের কাছেও নানান সমস্যার কথা শোনেন তাঁরা ।এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা: পার্থপ্রতিম মুখার্জি , ভাইস প্রিন্সিপাল ডা: অমিত দাঁ , অতিরিক্ত জেলা শাসক পালদেন শেরপা, সদর মহকুমা শাসক সুরেশচন্দ্র রানো প্রমূখ।
মিটিং-এর মধ্যেই পূজা কমিটির কর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রশাসনের তরফ থেকে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়, অঞ্জলি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি কুপন বিলি করতে হবে । কুড়ি জনের বেশি অঞ্জলি দেওয়ার সময় ভিড় করা যাবে না। পাশাপাশি ভোগ বিলির ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসতে হবে। পুজো মণ্ডপে ভিড় করা যাবে না। প্রতিটি পূজা মণ্ডপের তিনদিনের মুখ খোলা রাখতে হবে। মাক্স ছাড়া পুজো মণ্ডপে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় যাবে না। স্যানিটাইজার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এইসব নির্দেশিকা না মানলে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফ থেকে সেইসব পুজো কমিটির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।এদিন মালদা শহরের ১০০টি’রও বেশি পুজো কমিটির কর্তারা উপস্থিত হয়েছিলেন। তাদের কাছ থেকে নানান সমস্যার কথা শোনেন স্বাস্থ্য দপ্তর পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা।
কোভিড-১৯ নর্থবেঙ্গল অফিসার অফ স্পেশাল ডিউটি ডা: সুশান্ত কুমার রায় বলেন, মানুষকে সতর্ক এবং সচেতন হতে হবে। তা না হলে এই সংক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল। পুলিশ, প্রশাসন স্বাস্থ্য দপ্তরের অফিসার, কর্মীরা রাতদিন এক করে করোণা মোকাবিলায় কাজ করে চলেছেন । কাজেই এক্ষেত্রেও মানুষকে আরো সতর্ক হতে হবে।