বিপুলহারে কর্মস্থানের সুযোগ। হাওড়ায় গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে উঠলে আগামী দিনে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে জানালেন অরূপ রায়। হাওড়ায় পূর্ব ভারতের সবচেয়ে আধুনিক গার্মেন্ট ট্রেডিং হাব ‘কোণা হাওড়া হাট’ এর প্রকল্পের কাজের সূচনা করে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘কোণা হাওড়া হাটে’ প্রজেক্টের কাজ আজ থেকে শুরু হল। আগামী দিনে এখানে নতুন বিল্ডিং, আধুনিক মানের পাঁচতারা হোটেল, ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে উঠবে। এখানে বড়ো প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে প্রকল্প রূপায়িত হলে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে এখানে।”
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কিম ফর অ্যাপ্রুভড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্কিমের অধীনে অনুমোদিত নতুন কোণা-হাওড়া গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সম্পূর্ণ রূপে গড়ে উঠলে আগামী দিনে বাংলায় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এদিন মন্ত্রী অরূপ রায় ছাড়াও বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরী, সমাজসেবী বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় সহ গ্রুপের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২২ একর স্বয়ংসম্পূর্ণ এই হাট ক্যাম্পাসে থাকবে ১৫ হাজারের বেশি ইউনিট। এখানে ব্যবস্থা থাকবে উৎপাদন ইউনিট, হাট ওয়ার্কশপ। পাশাপাশি থাকবে ৫০ থেকে ৫০ হাজার বর্গফুটের ওয়্যারহাউস। এই হাবে তৈরি বিল্ডিংগুলি ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল সার্টিফাইড (আইজিবিসি) গোল্ড রেটেড। এই হাবে থাকবে একাধিক সুবিধা। এখানে টেক্সটাইল মার্কেটিং অফিস, কনফারেন্স রুম, একাধিক বিজনেস সেন্টার, কোয়ালিটি চেকিং ইউনিট, গার্মেন্ট প্যাকেজিং, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইউনিট, ওয়ার্কশপ স্পেস, ওয়্যারহাউজ, ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস ও ট্রাভেল এজেন্ট, মুভার্স অ্যান্ড প্যাকারস প্রভৃতির সুবিধা থাকবে।
এর পাশাপাশি এখানে যারা কাজ করবেন, আসবেন বা থাকবেন তাদের জন্য রেস্টিং জোন, ক্যান্টিন, রেস্তোরাঁ, ওপেন এয়ার ফুড প্লাজা প্রভৃতি থাকবে। থাকবে গেস্ট স্টাফেদের থাকার ব্যবস্থাও। চত্বরের ভিতর সুপরিকল্পিতভাবে ট্রাফিক মুভমেন্ট, মালবাহী লিফটের পাশে লোডিং আনলোডিংয়েরর নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে। থাকবে ৪ হাজারেরও বেশি দু’চাকা গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এছাড়াও চার চাকা পার্কিংয়ের জন্য চওড়া জায়গা, চল্লিশটা ট্রাক পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা এখানে থাকবে। এছাড়াও থাকবে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, রেন ওয়াটার হারভেস্টিংয়ের ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে এখানে সৌরচালিত আলোরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্বভাবতই নয়া এই হাট চালু হলে এলাকার ভোলবদলে যাবে বলেই মত বাসিন্দাদের৷