প্রায় সাড়ে তিন বছর প্রকাশ্যে এসেই বিজেপিকে হুঙ্কার দিলেন বিমল গুরুং। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দিতে তৃণমূলকে সমর্থন করার ঘোষণা গোর্খাল্যান্ড এর জিগির তুলে ফের হারানো জমি ফিরিয়ে পেতে তৎপর হলেন প্রাক্তন জিটিএ প্রধান।
এদিন শিলিগুড়ি গান্ধীময়দানে বিমল গুরুংকে স্বাগত জানাতে পাহাড়, তরাই সহ ডুয়ার্সের একাধিক জায়গা থেকে প্রচুর কর্মী সমর্থক আসেন। নেতাদের দাবি প্রায় তিন লাখ লোকের সমাগম ছিল সভায়। এদিন বিমলের সভার প্রভাব পড়ল সমগ্র শিলিগুড়িতে। হিলকার্ট রোড, মিরিক রোড, সিভিক রোডে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়ল যানবাহন।
সূত্রের খবর এদিনের সভামঞ্চ ছিল প্রকৃত পক্ষে বিমলের আত্মসম্মানের লড়াই। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর একাধিক জামিন অযোগ্য মামলা থাকায় লুকিয়ে থাকতে হয়েছে। প্রশাসন ও তৎপর ছিল বিমলকে গ্রেপ্তার করতে ।এমনকি তাঁকে ধরতে লুক আউট নোটিশ পর্যন্ত জারি হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে পাহাড়ে নিজেকে ফিরিয়ে আনতে প্রথমদিকে বিজেপির সহযোগিতা না পেয়ে তৃণমূলের তরফে আশ্বাস পেয়ে বর্তমানে পাহাড়ে ঘর গোছাতে তৎপর একদা মোর্চার দোর্দন্ডপ্রতাপশালী নেতা। এদিনে সভায় বিমলের হুঙ্কারের বেশিরভাগটাই ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ , লোকসভা ভোটে বিজেপিকে বারবার জিতিয়ে আনলেও গোর্খা জাতির জন্য কিছুই করেনি বিজেপির নেতারা। বর্তমান সাংসদ রাজু বিস্টকেও একহাত নেন বিমল। রাজুর প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিমলের অভিযোগ সাড়ে চার লাখ ভোটে গোর্খা জাতি তাকে লোকসভায় পাঠালেও কাজের তুলনায় ভাষণ মেরেছেন । বিমলের দাবি এবার বিধান ভোটে উত্তরবঙ্গ থেকে বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দিতে দুতিন মাসে কুড়ি পঁচিশটি সভা করার কথা জানিয়েছেন। দার্জিলিং জেলা, কালিম্পঙ, আলিপুরদুয়ার ,জলপাইগুড়ির বেশ কয়েকটি বিধানসভা আসনে নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে জনমুক্তি মোর্চার ভোট , সেই ভোট বাক্সের দিকে তাকিয়ে বিমল এবার নিজের ভীত পুনরায় শক্ত করবে তা এদিনের সভা থেকে পরিস্কার।
সেইসঙ্গে এদিনের সভা থেকে তিনি আরো স্পষ্ট করেই জানালেন গোর্খাল্যান্ডএর দাবি থেকে সরে আসেন নি তিনি।