বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না সংগঠনগুলিকে কড়া হুঁশিয়ারি পরিবহণ দফতরের

বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না বলে বাস সংগঠনগুলিকে চিঠি দিয়ে জানাল পরিবহণ দফতর। এমনকী, অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। করোনা বিধি-নিষেধের মধ্যে রাস্তায় নেমেছে হাতে গোণা বেসরকারি বাস। ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে অনড় বাস মালিক সংগঠনগুলি। ভাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অনড় সরকারও। বাস ভাড়া নিয়ে যখন সমাধানসূত্র অধরা, তখন বিভিন্ন রুটে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।  প্রশাসন সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়তি বাসভাড়া নেওয়ার অভিযোগ সামনে আসছিল। এই পরিস্থিতিতে কড়া বার্তা দিল রাজ্য সরকার। এদিন চিঠি দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটির তরফে বাস সংগঠনগুলিকে দেওয়া চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনওভাবেই এখন অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই প্রেক্ষিতে বাস মালিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এভাবে বাস চালানো সম্ভব নয়। তেলের দাম ৬৩ থেকে বেড়ে ৯৩ হয়েছে। সবকিছুর খরচ বেড়েছে, আয় নেই। সেক্ষেত্রে রাস্তায় বাস নামবে না। 

মন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল বাসমালিকদের বিভিন্ন সংগঠন। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের যুগ্ম সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভাড়া বেশি নিতে কেউ চাইছে না। সরকার বর্ধিত ভাড়ার বৈধতা দিচ্ছে না কেন। গত বছরও চলেছে। এভাবেও চলছে। পট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধিতে বাস চালানো সম্ভব না। বাসের ক্ষেত্রেই শুধু নিয়ন্ত্রণ কেন, অটোর ক্ষেত্রে নয় কেন

অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির যুগ্ম সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, নিজের মতো করে ভাড়া বেশি নেওয়া বেআইনি। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু বাস চালক, কন্ডাক্টদের যেটা করছেন, সেটা ভিক্ষা অনুদান নেওয়া হচ্ছে। সরকার পেট্রোল, ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করে না। আয়ের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ। তাহলে তো সমস্যা হবেই।

ইতিমধ্যেই ভাড়া নির্ধারণের উপর থেকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়ার দাবি উঠেছে উঠল সিটি সাবারবন বাস সার্ভিসের বৈঠকে। ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে সই সংগ্রহ করেছেন মালিকরা। তারপরেও সাধারণ মানুষের ওপর বোঝার কথা ভেবে ভাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনড় সরকার।