– ও বাবা, বাবা! হ্যাপী ফাদার্স ডে।
– এত ভালোবাসা কেন?! তুমি প্রত্যেকবার অঙ্কে পান্তুয়া পাবে আর আমি প্রত্যেকবার তোমার খাতায় সই করে দিতে পারব না।
– আরেহ্, বাবা…
– না না! এর আগেরবার অঙ্কে পঁচিশে সাড়ে তিন পেলি! কি করে পেলি?!
– সাড়ে তিন মোটেও পাই নি আমি।
– একদম বাড়িয়ে বলবি না নম্বর। আমার মনে আছে তুই সাড়ে তিন পেয়েছিলি।
– নাহ্ আমি সাড়ে তিন পাই নি। তুমি ভুলে গেছ!
– আমি ভুলে যাব? আমি তোর বাবা না তুই আমার বাবা?! কে বাবা?!
– তুমি আমার বাবা! কিন্তু তুমি তাও ভুল বলছ! আমি সাড়ে তিন পাই নি! অনেকদিন আগের ব্যাপার! ভুলে যাওয়াটা দোষের না।
– অনেকদিন আগের মানে?! এই তো কয়েকদিন আগের ব্যাপার! তুই অঙ্কখাতা এনে মুড়ির ডাব্বার তলায় লুকিয়ে রাখিস নি? সত্যি বল। আমি ভুলে গেছি?
– এটা তুমি ভুলে যাও নি। কিন্তু পঁচিশে সাড়ে তিনের ব্যাপারটা তুমি ভুলে গেছ!
– তাহলে তুই কত পেয়েছিলি? পঁচিশে পঁচিশ?
– না। পঁচিশে দুই পেয়েছিলাম। তুমি দেড় নাম্বার বাড়িয়ে বলছিলে।
– ঐ হল আরকি! কিন্তু এভাবে অঙ্কে দুই পেয়ে এসে তুমি আমায় আহ্লাদ করে ফাদার্স ডে বলবে, আর আমি তোমার খাতায় সই করে দেব সেটা আর হবে না। নেভার। এভাবে চলতে থাকলে তুমি মাধ্যমিকে ফেল করবে।
– বাবা, আমি বছর এগারো আগে মাধ্যমিকে পাশ করে গেছি! এখন চাকরি করছি!
– ওহ্! তাই তো! ভুলে গেছিলাম! যাহ্!
– সেটাই!
– অঙ্কখাতা সই করানোর নেই যখন, তাহলে এত ভালোবেসে ফাদার্স ডে বলার কারণ?!
– তেমন কিছুই না। আমি লাড্ডু খাচ্ছিলাম। তারপর লাড্ডুটা হাত থেকে গড়িয়ে খাটের তলার ট্রলিব্যাগের তলায় ঢুকে বসে আছে। তুমি প্লিজ একটু পেয়ারা গাছের ডাল দিয়ে খুঁচিয়ে বের করে দেবে লাড্ডুটা? খাব!