নয়াদিল্লি: সংক্রমণে চতুর্থ। সুস্থতার হারেও প্রথম সারিতে। ঝলকে ভারতে করোনা চালচিত্রের সামগ্রিক ছবি এটাই। আর তাতেই খানিক স্বস্তি পাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে তারই মধ্যে স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাবৃদ্ধি। প্রতিদিন উন্নতি হচ্ছে সুস্থতার হারে। গত ১৫ এপ্রিল দেশে সুস্থতার হার ছিল মাত্র ১১.৪২ শতাংশ। দু’মাসের মধ্যে এই হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেল। সোমবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৫১.০৭ শতাংশ। বর্তমানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ১০৬ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠছেন ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৯৭ জন। এই মুহূর্তে দিল্লি ও মুম্বইয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদিও বিশ্বের যে শহরগুলির অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়, সেগুলির থেকে ভারতের এই দুই শহরের সুস্থতার হার অনেক ভাল। নিউ ইয়র্কে সুস্থতার হার ২১.২৩ শতাংশ। নিউ জার্সিতে ১৮.৪৪ শতাংশ। সেই তুলনায় দিল্লিতে সুস্থতার হার ৩৮.৩৬ শতাংশ। মুম্বইয়ে ৪৫.৬৫ শতাংশ। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় ভারতে মৃত্যুর হারও অন্য দেশগুলির তুলনায় অনেক কম। ভারতে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। আমেরিকায় এই সংখ্যাটা ৩৫৫, ব্রাজিলে ২০১, রাশিয়ায় ৪৮ ও ব্রিটেনে ৬১৪। সুস্থতার হার বাড়া ও মৃত্যু হার কম থাকা সত্ত্বেও চিন্তা বাড়াচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধি। পরিস্থিতি সামলাতে চেন্নাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় ১৯ থেকে ৩০ জুন কঠোর লকডাউনের পথে হাঁটবে তামিলনাড়ু সরকার। একই পদক্ষেপ করা হচ্ছে কাঞ্চিপুরম, চেঙ্গলপত্তু ও তিরুভারুর জেলায়। সোমবার এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী। একটি জরুরি বৈঠকের পর একথা জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওই ক’দিন পুরোপুরি লকডাউন চলবে। এর মধ্যে দু’টি রবিবার পুরোপুরি শাটডাউন থাকবে চেন্নাইয়ে। তবে গুজরাতে নতুন করে লকডাউনের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে দিলেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি।
দেশে এই নিয়ে টানা তিনদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেল। এদিন সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫০২ জন। মৃত্যু হয়েছে আরও ৩২৫ জনের। পাশাপাশি পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে রাজধানী দিল্লিতে। সেখানে মাত্র ৬ দিনে আরও ১০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার পেরিয়ে গেল।