জল্পনার সূত্রপাত বিগত কয়েক মাস ধরে। বেশ কিছুদিন ধরেই নিজের দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেছে তাকে। এরপরই পূর্ব আশংকা অনুযায়ী দেখা গেলো বদল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে কার্যত অসাধ্য সাধন ঘটিয়ে ফেলেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন গতকাল। বিজেপি তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিল এবং তারপর থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন জয়। সম্প্রতি লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শান্তনু ঠাকুর, সায়ন্তন বসুর মতো বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। তাই এখন যেহেতু তিনি নিজেই তৃণমূলে এসেছেন তাই বাকি বিক্ষুব্ধদের নিয়েও জল্পনা বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু লকেট এই দল বদল মেনে নেননি একেবারেই।
বাঁকুড়ার সার্কাস ময়দান এলাকায় সদ্য প্রয়াত এক বিজেপি নেতার বাড়িতে দেখা করতে যান লকেট। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন যে, বিজেপি দলে আরও অনেক জয়প্রকাশ আছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। দলের মধ্যে থেকে দলটাকে নষ্ট করছে, এমন সদস্যদেরও চিহ্নিত করতে হবে বলে জানান বিজেপি সাংসদ। তাঁর কথায়, জয়প্রকাশের মতো যারা আছে, তারা যত জলদি দল ছেড়ে দেয় তত বেশি ভালো হবে। অনেকেই মনে করছিলেন যে, এবার হয়তো একে একে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা দলত্যাগ করবেন। কিন্তু লকেটের কথা শুনে এমন কিছু আপাতত মনে হচ্ছে না।
গতকাল জয়প্রকাশ মজুমদারের দল বদল প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে লকেট জানিয়েছিলেন, দলের কথা না ভেবে যদি কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য দল ছেড়ে চলে যান, তাহলে সেটা হটকারী সিদ্ধান্ত৷ আগেও উনি দল বদল করেছেন৷ কংগ্রেস থেকে বিজেপি’তে এসেছিলেন৷ এখানে কাজ করেছেন৷ দলের এমন একটা সময় যাঁরা দল ছেড়ে চলে যায়, তাঁরা দলের অনুগত সৈনিক নন৷ এই ধরনের হটকারী সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন না বলেই স্পষ্ট করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে তিনি এও দাবি করেন যে, পুরনো লোকরা দলেই আছেন, দলেই থাকবে৷ অন্য দলে যাওয়ার কিছু নেই৷ যারা তৃণমূল থেকে এসেছিলেন, স্বার্থসিদ্ধি হয়নি বলে তাঁরা ফের তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন৷