আগামী ৩রা জানুয়ারি সোমবার পর্যন্ত বই মেলা অনুষ্ঠিত হবে কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে। কোভিড পরিস্থিতির জন্য গত দু’বছর বইমেলা অতটা জাকজমক পূর্ণ না হলেও এবছর বই মেলা শুরু হয়েছে মহা সমারোহে।বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী ছাড়াও জেলাশাসক পবন কাদিয়ান, জেলা সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন, দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক উদয়ন গুহ, এন বি এস টি সির চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এবছরের মেলায় মোট ৭৫ টি পাবলিশার ১২২ টি স্টল নিয়ে বই মেলায় উপস্থিত হয়েছেন। গত দু’বছরে বই মেলা সেই ভাবে বেচাকিনা না হলেও এবছর ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট আশাবাদী এই বইমেলা নিয়ে।
এবছর বই মেলা অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে কবি অরুণেশ ঘোষ স্মৃতি সম্মান পুরস্কার দেওয়া হয় কোবি নিখিলেশ রায় এবং অমিয়ভূষণ স্মৃতি সম্মান প্রদান করা হয় সাহিত্যিক রাজর্ষি বিশ্বাসকে।
বইমেলা প্রসঙ্গে এনবিএসটিসি চেয়ারম্যান এবং রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় বলেন, কোচবিহারে ১২২টি স্টল ৭৫ প্রকাশনী সংস্থা এবছরের বই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। কোচবিহারের বইমেলার বরাবরই একটা আলাদা নাম রয়েছে, এবারও তার অন্যথা হবে না। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও আরো অন্যান্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এবারের বইমেলা সম্পন্ন করা হবে। ইলেকট্রনিক্স দুনিয়াতে যখন প্রত্যেকের হাতেই মোবাইল রয়েছে যেকোনো বিষয় জানতে অতি দ্রুত গুগোলের মাধ্যমে উত্তর পেয়ে যাচ্ছেন। সেই পরিস্থিতিতে বর্তমান প্রজন্ম বই থেকে অনেকটাই দূরে চলে আসছে ধীরে ধীরে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে বইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরতে বইমেলা অত্যন্ত জরুরী পদক্ষেপ। পূর্বের এবং পরের সমাজের সমস্ত কিছু জানার এবং তার যোগসূত্র স্থাপন করার একমাত্র মাধ্যম বই।তাই বইমেলার মতো গুরুত্ব বর্তমান সমাজে অপরিসীম বলে মনে করেন সমাজের বুদ্ধিজীবী মানুষ। তারা মনে করেন বইমেলাই হতে পারে একটি বড় মাধ্যম বর্তমান যুব সমাজকে বইয়ের প্রতি আকর্ষণ করার এবং বইয়ের প্রতি ভালোবাসা দেখাবার।