একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই চব্বিশের লড়াইয়ের ডাক দিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই চব্বিশের লড়াইয়ের ডাক দিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘২১ জুলাই শহিদ দিবস তর্পণের দিন। দিনটি ক্রমশ এতটাই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে এই তারিখটি আমাদের শক্তি দেয়, অনুপ্রাণিত করে, চলার পথের দিকনির্দেশ করে দেয়’, নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ‘এবার শপথ দিল্লি চলো’, এই বার্তাই দিয়েছেন মমতা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আমরা জিতেছি মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদে। কিন্তু সামনে আরও অনেক কাজ’। পাঁচটি পয়েন্টে সেই কাজের কথা তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-

১. রাজ্য সরকারের একের পর এক উন্নয়ন ও সামাজিক স্কিমগুলির উপযোগিতা মানুষেরপ কাছে তুলে ধরা। মানুষকে সহযোগিতা করা।

২. কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রচার। বাংলার প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ণ চক্রান্তের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন।

৩. দলের সুশৃঙ্খল পরিকাঠামো আরও মজবুত করতে দায়িত্বপালন, যাতে প্রতিপক্ষের কোনও ষড়যন্ত্র বা কোনও বিশ্বাসঘাতকের নোংরা কাজকর্মে দলের বিন্দুমাত্র ক্ষতি না হয়।

৪. মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং কর্তব্যপালন। নিবিড় জনসংযোগ। বাংলার জন্য , মানুষের জন্য আমরা জীবন দিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। বিচ্ছিন্নভাবে কোনও এলাকায় কারওর জন্য যেন মানুষের কোনও কষ্ট না হয়।

৫. বিরোধীদের কুৎসা ও অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে যথাযথভাবে। বাস্তবটা তুলে ধরতে হবে। বাংলার অতীতের বাম জমানার অপশাসন, সন্ত্রাসের সঙ্গে তুলনা করে দেখাতে হবে এখন পরিস্থিতি কত ভালো। বিজেপিশাসিত কেন্দ্র ও অন্য রাজ্যের সঙ্গেও তুলনা করে তথ্য ও পরিসংখ্যানের মধ্যে দিয়ে বোঝাতে হবে এগিয়ে বাংলা।