উপনির্বাচন বন্ধের দাবিতে দিলীপ

আর মাত্র দুদিন বাদেই আসন্ন উপনির্বাচন ভবানীপুরে। এরই মাঝে গতকাল ভোটের প্রচারে গিয়ে বেসামাল পরিস্থিতি হয়েছিল ভবানীপুরে। ব্যাপক উত্তাপ ছড়ায় ভবানীপুর এলাকায়। হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির ওপর। ধাক্কা মারা হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে, এমনই অভিযোগ। আক্রমণের পর এবার ভবানীপুর উপ নির্বাচন স্থগিত হোক এমন দাবি করছেন খোদ দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি স্পষ্ট জানান, ভবানীপুরে নির্বাচন হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। যদিও দলের বক্তব্য, ১৪৪ ধারা জারি করে ভোট হোক। মতবিরোধ প্রকাশ্যে। 

দিলীপের বক্তব্য, যেখানে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না, যেখানে প্রচার করা সম্ভব হচ্ছে না সেখানে কী ভাবে ভোট করা হবে। যারা বিজেপিকে ভোট দিতে চান তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে এবং ক্রমাগত বিজেপির ওপরে হামলা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোনো ভাবেই ভবানীপুরে ভোট হওয়া সম্ভব নয়। তাই উপ নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবি তুলেছেন তিনি। তিনি আরো দাবি করছেন, যেভাবে আজ ভবানীপুরে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা করা হলেও তাতে বোঝা যাচ্ছে সেখানকার মানুষ প্রচন্ড ভয়ে ভয়ে রয়েছেন। এদিকে পুলিশকে আগে থেকে সতর্ক করা থাকলেও তারা কোন রকম পদক্ষেপ নেয় না বলেও অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ।

নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল বিজেপি প্রতিনিধি দল। ভবানীপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে তারা নালিশ জানাতে যায়। ওই দলে ছিলেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, গোটা ভবানীপুর বিধানসভা অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি হোক এমনটাই চান তারা। ১৪৪ ধারাতেই ভোট হোক সেখানে। যতক্ষণ নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হয় ততক্ষণ ওই ধারা জারি থাকুক, এমনই দাবি বিজেপির। পাশাপাশি তারা এও দাবি করেছে যে, ভবানীপুরের প্রতিটি বুথেই সিসিটিভ ক্যামেরা লাগাতে হবে এবং বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে।

প্রসঙ্গত, ভবানীপুরে অশান্তির ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। ঠিক কী কারণে সেখানে অশান্তি হল এবং কোন পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীকে বন্দুক বের করতে হল, তাই জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাজ্যের কাছে এই নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে তারা। ভবানীপুরের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবার রাজ্যে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি ভবানীপুরের। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র অবশিষ্ট নেই।