ভোট মিটলেও মেটেনি হিংসার ছবি। দেখা যাচ্ছে চারদিকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির চিত্র। ভোটের পরেও রক্ত বয়েছে অনেক জায়গায়। এই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও উঠেছে চরমে। তাই হিংসার পরিস্থিতির খতিয়ান নিতে নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ভোট চলাকালীন রক্তাক্ত হয়েছিল শীতলকুচি। সিআরপিএফের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল চারজনের। সেই ক্ষত এখনও টাটকা। এই পরিস্থিতিতে ভোট-পরবর্তী হিংসায় ছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন তাদের দেখতে কোচবিহার সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কোচবিহার সফর ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। এবার বিক্ষোভের মুখেও পড়লেন রাজ্যপাল। শুনতে হয় গো ব্যাক স্লোগান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়। এরপর কথা বলেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে।
ঘটনাচক্রে এদিন রাজ্যপাল কোচবিহারের যে দুটি বিধানসভায় গিয়েছিলেন সেই মাথাভাঙা ও তুফানগঞ্জ এবারে বিজেপির দখলে৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মণ এবং তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপি-র জেলা সভাপতি মালতী রাভা রায়।রাজ্যপালের অভিযোগ, দুর্গত এলাকার মানুষ শাসকের চাপের কাছে নতি স্বীকার করার পরও তাঁদের রেহাই দেওয়া হচ্ছে না৷ উল্লেখ্য, এই জেলা সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। ধনকড় প্রথা ভেঙে এই সফর করছেন, এমনটা দাবি করে বুধবার তাঁকে একটি চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।