অপহরণের ঘটনার তদন্তে নেমে অপহরণকারী ও অপহৃত ব্যক্তি দুজনকেই কালচিনির আফিম পাচারকারী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতরা হল অপহরণকারী সুজন বিশ্বাস এবং অপহৃত মদন শর্মা। তাদের দুজনকেই শনিবার রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘী থানার বাসিন্দা পেশায় লড়ি চালক মদন শর্মা ও তার সঙ্গী সুজন বিশ্বাস লড়ি নিয়ে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি যায়। পথে হরিয়ানার এক আফিং পাচারকারীকে গাড়িতে তোলে। এরপর সুজন ও মদন দুজনে মিলে হরিয়ানার বাসিন্দা আফিং পাচারকারীকে খুন করে। ঘটনার তদন্তে নেমে সুজনকে গ্রেফতার করে কালচিনি থানার পুলিশ। তার তিন মাস জেলও হয়। এদিকে অপর অভিযুক্ত গাঢাকা দিয়ে রায়গঞ্জে এসে বসবাস শুরু করে। তিনমাস জেল খেটে আসার পর সুজন বিশ্বাস করনদিঘীতে ফিরে আসে। গত ২৬ মে সুজন মদনের সাথে যোগাযোগ করে তাকে রায়গঞ্জ থানার ভাঙাবাড়িতে এক চায়ের দোকানে ডেকে নেয়৷ তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি মদনের। এই ঘটনা নিয়ে মদন শর্মার পরিবারের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জ থানায় সুজনের বিরুদ্ধে মদনকে অপহরণ ও পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অপহরণের ঘটনার তদন্তে নামে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে করনদিঘী থানার রসাখোয়া এলাকার ভোপালহাট থেকে অপহৃত মদন শর্মাকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী সুজন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। তাদের দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে উঠে আসে আলিপুরদুয়ারের কালচিনির আফিং পাচারকারী খুনের ঘটনার রহস্য। জানা গিয়েছে কালচিনির আফিং পাচারকারী খুনের ঘটনায় সুজন বিশ্বাস ও মদন শর্মা দুজনেই যুক্ত ছিল। পুলিশ ধৃত মদন শর্মা ও সুজন বিশ্বাসকে শনিবার রায়গঞ্জ আদালতে পেশ করে।