রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ওষুধের পাশাপাশি ঘরোয়া উপায়ে ভরসা রাখতে পারেন

ডায়াবেটিসের নাম শুনলেই বন্ধ করে দেন চিনি খাওয়া। তবে, আগে এই রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে যতটা ভয়ভীতি ছিল, এখন নেই বললেই চলে। সচেতনতা বেড়েছে। কিন্তু ডায়াবেটিসের রোগী এখন ঘরে ঘরে। আর সেখানেই আয়ুর্বেদিক টোটকা বেছে নিচ্ছেন। আয়ুর্বেদে এমন বেশ কিছু ভেষজ উপাদান ব্যবহার করা হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই ৫ ভেষজ খেতে পারেন আপনিও চাইলে।

তুলসি পাতা: ছাদবাগানে রয়েছে তুলসি গাছ। সেখান থেকেই তুলে খেয়ে নিন ৫-৬টা পাতা। নিয়মিত তুলসি পাতার রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তুলসি পাতা শারীরিক প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি একাধিক রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।

অর্জুন: আয়ুর্বেদে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় অর্জুন। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অর্জুন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্যে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে খেতে পারেন অর্জুন।

নিম: ডায়াবেটিকদের তেঁতো খাবার ডায়েটে রাখা জরুরি। ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করার পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে নিম পাতা। নিম পাতা রক্ত পরিশুদ্ধ করার কাজও করে। নিম পাতা ডায়াবেটিসে রোগীদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে দুর্দান্ত কাজ করে।

জলপাইয়ের পাতা: স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকেই রান্নার তেলেও পরিবর্তন আনেন। জলপাইয়ের তেল বা অলিভ অয়েলকে বেছে নেন। এই তেল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী। পাশাপাশি এই জলপাইয়ের পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অলিভ গাছের পাতার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। জলপাইয়ের পাতার রস খেতে পারেন ডায়াবেটিসের রোগীরা।

শিলাজিৎ: হিমালয়ের পাহাড়ে এই ভেষজ উপাদানটি পাওয়া যায়। শিলাজিৎ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং রক্তে নিয়ন্ত্রণে রাখে শর্করার মাত্রা। পাশাপাশি এই উপাদানের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যার জেরে এটি শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।