প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনায় দক্ষিন দিনাজপুর জেলা জুড়ে পালিত হল বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবস। ১৯৯৭ সালের ২১ নভেম্বর দেশের ৩২টি মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সদস্যরা তাঁদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লিতে একত্রিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে প্রতি বছর এই দিনটি বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবস হিসাবে পালন করেন মৎস্যজীবীরা।জাল যার, জল তার’ স্লোগানকে সামনে রেখে, এছাড়াও জলদূষণ রোধ, মৎস্যজীবীদের একাধিক সমস্যা দূর করার দাবিকে সামনে রেখে সারা দেশের পাশাপাশি আজ ওই সংস্থ্যার শাখার উদ্যোগে বালুরঘাটে ও পালিত হলো মৎস্যজীবী দিবস। এদিনের অনুষ্ঠান উপলক্ষে শতাধিক মৎস্যজীবী যোগ দেন।
মৎস্যজীবী সংগঠনের দক্ষিন দিনাজপুর জেলার কোওডির্নেটর বিশ্বজ্যি বসাক বলেন মৎস্যজীবীদের সরকারি ক্রেডিট কার্ড দিলেও এই জীবীকার সাথে আর যারা জড়িত রয়েছে, মাছ ধরার জালের কারিগর ও যাদের মধ্যমে মাছ গুলো নানা প্রান্তে বাজার জাত করা হয়ে থাকে সেসব ভেন্ডরদের এই কার্ডের আওতায় আনার দাবি তারা জানিয়ে আসছেন সরকারের আছে।কেননা এই জীবীকায় তারা না যুক্ত থাকলে এই চাষ অসম্ভব, তাই তাদেরও যেমন এই কার্ডের আওতায় আনার দাবি তুলেছেন।তেমনি এই পেশায় যুক্ত বয়ষ্ক মানুষদের কোন কারনে মৃত্যু হলে তার সরকারি সুবিধে তার পরিবারের ক্ষেত্রে পাওয়ার সরলিকরন প্রথা চালু করার ও দাবি তারা সরকারের কাছে জানিয়েছেন।এতে মৎস্যজীবী পরিবারদের দুখ ও যেমন কমবে তেমনি হয়রানীর মধ্যে পরতে হবে না।
বিশ্বজ্যিত বাবুর এই জেলা মৎস্যজীবীদের স্বার্থে জেলার তিনটি মুল নদী আত্রেয়ী, ব্রাম্ভনী ও পুনর্ভবা বা টাংগন নদীকে সংষ্কারের মধ্যমে একত্রিত করে মাছ চাষ করার দাবি জানিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে এ জেলার মৎস্যজীবীদের জীবিকা বাচবে না হলে বাংলাদেশের রাবার বাধ দেওয়ার ফলে নদী গুলি শুকিয়ে গেলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ছেয়ে যাবে বলে এদিন তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।