একটি অপশন ছাড়াই হলো ভোট

রাজ্যে সদ্য হয়ে যাওয়া ভোট পর্বে ছিলো না একটি অপশন৷ একুশের বিধানসভা ভোটের ৮ মাস পর রাজ্যের মানুষ যখন চার পুর নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়েছিলেন, তখন নিশ্চিতভাবেই ইউভিএম-এ একটি ছোট্ট বদল চোখে পড়েছে তাঁদের৷ প্রতিবারের মতো এবারও ইভিএম-এ দলের প্রতীক প্রার্থীর নাম ইত্যাদি থাকলেও, ছিল না NOTA (None of the above) অপশানটি৷ বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়িতে ভোট হয়ে যায় নোটা অপশান ছাড়াই৷ এর পর রাজ্যের বাকি ১০৮টি পুরসভা ভোটেও ইভিএম মেশিনে ছিল না নোটা অপশান৷

২০১৩ সালে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে ইভিএম মেশিনে নোটা অপশান চালু করার কথা বলেছিল শীর্ষ আদালত৷ এর পর থেকে প্রতিটি লোকসভা ও রাজ্যসভা ভোটে নোটা অপশানটি রাখা হয়েছে৷ তবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া এই নির্দেশ পুরসভা ভোটের জন্য বাধ্যতামূলক নয়৷ তাছাড়া পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোট হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে৷ সেখানে NOTA বিকল্পটি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আইনে সংশোধন আনার প্রয়োজন রয়েছে৷ ২৮ বছর পুরনো আইন মেনেই এ রাজ্যে সম্পন্ন হয়েছে পুরভোট৷ এই আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত NOTA বাধ্যতামূলক নয়৷ আবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য ২৪৩ জেড এ-র অধীনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে পর্যাপ্ত ক্ষমতা রয়েছে৷ যার মাধ্যমে তারা যে কোনও আইন এড়িয়ে যেতে পারে৷  

উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে এই প্রথম পুরভোটে NOTA অপশান চালু করার কথা ঘোষণা করেছে ওডিশা স্টেট ইলেকশন কমিশন৷ ভোটের আগে এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস বলেছিলেন, ইভিএম মেশিনে NOTA প্রয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, তবে ১০৮টি পুরসভার ভোটে NOTA চালু করা সম্ভব নয়৷ রাজনৈতিক ভাষ্যকার বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর কথায়,  ‘‘যে কারণে সুপ্রিম কোর্ট  NOTA  প্রবর্তন করেছে তা প্রতিটি নির্বাচনের জন্যেই প্রযোজ্য। পৌরসভা নির্বাচনের জন্যও NOTA  অপশানটি থাকা উচিত। আমি বুঝতে পারছি না কেন দলগুলি এখনও নীরব।”