পার্থকে মন্ত্রিত্ব পদ থেকে অপসারিত করায় প্রশ্ন উঠছে নতুন পদপ্রার্থী নিয়ে

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় জর্জরিত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তিন তিনটি মন্ত্রিত পদ থেকেই সরানো হলো তাকে৷ মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রেফতারির ছ’দিনের মাথায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে মন্ত্রিসভায় বদল আসতে পারে।

এখন কী বদল আসবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। সবার নজর আগামী সোমবারের দিকে কারণ সেদিনই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত পার্থর দফতরগুলি রয়েছে তাঁর হাতেই। শুধু সেই দফতর বন্টন হবে, নাকি সম্পূর্ণ মন্ত্রিসভার রদবদল, কৌতূহল বাড়ছে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দল খুবই কঠোর। খুব কষ্ট করে তিনি রাজনীতি করেন। তাঁদের দল কিছুর সঙ্গে আপোস করে না। আগেও পার্থকাণ্ডে ‘দায়’ কার্যত ঝেড়ে ফেলেছিলেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে এবার হয়তো এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা মন্ত্রিসভা পুরো বদলে ফেলবেন।

এমনও হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত মন্ত্রীকে এক সঙ্গে পদত্যাগ করিয়ে নতুনভাবে মন্ত্রিসভা গঠন করলেন। সেক্ষেত্রে কে কোন দফতর পাবেন তা নিয়েও একটা জল্পনা তৈরি হয়েছে। আবার পার্থর দফতর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতেই রাখবেন নাকি অন্য কেউ পাবেন, সে নিয়েও প্রশ্ন।

বর্তমান মন্ত্রিসভার দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডে প্রয়াত। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে মন্ত্রিসভার বন্টন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জরুরী।

তবে তিনি তা কী ভাবে সাজাবেন সেটাই সবথেকে বড় চর্চার বিষয়। এক্ষেত্রে দফতর অদল বদল করার ব্যাপারটি যে বেশি মাত্রায় হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেটাও অমান্য করা যায় না। এখন আদতে কী হয় সেটা তো সোমের বৈঠক থেকে জানা যাবে।