বহু প্রশ্নের মুখে ছিলো মহারাষ্ট্র সরকার। টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, অল্প সময়ের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ হাসিল করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবারই মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন একনাথ শিন্ডে। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোড় তিনি ঘুরিয়ে দিয়েছেন প্রায় একা হাতেই।
কিন্তু এখনও তাঁর অনেক পরীক্ষা বাকি আছে। আগামী সোমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ‘প্রথম পরীক্ষা’ দেবেন তিনি। নিজের সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে শিন্ডেকে। আসলে ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে আস্থা ভোট। সেখানেই সব ফয়সালা হবে।
৩ এবং ৪ জুলাই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। ৩ জুলাই বিধানসভার স্পিকার নির্বাচন হবে এবং পরের দিন আস্থা ভোট। সেই দিনই বড় পরীক্ষার সামনে একনাথ শিন্ডে এবং দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ গোষ্ঠী। কিন্তু বিতর্ক এখনও রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশে।
ইতিমধ্যে একনাথ শিন্ডে সহ ১৫ বিধায়ককে আপাতত সাসপেন্ড করার জন্য আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় শিবসেনা। তবে শিবসেনার সেই আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। তবে ১১ জুলাই আবার এই মামলার শুনানি রয়েছে।
এদিকে একনাথ শিন্ডে দাবি করেছিলেন যে, তাঁর সঙ্গে আরও ৫০ বিধায়ক আছেন। সেক্ষেত্রে হিসেব যা দাঁড়াচ্ছে তাতে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে তারা। হিসেব বলছে, মহারাষ্ট্রের ম্যাজিক ফিগার ১৪৪। শিন্ডে গোষ্ঠীর সঙ্গে শিবসেনার ৩৯ জন বিধায়ক রয়েছেন। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৬। এই হিসেবেই তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
এরপর জানা গিয়েছে, আরও ২০ নির্দল প্রার্থী সমর্থন জানিয়েছেন এই শিন্ডে-ফড়ণবীশ গোষ্ঠীকে। তাই সরকার গড়তে তাদের আর সেইভাবে কোনও বাধা থাকছে না। এবার অবশেষে জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।