বিগত ছয় মাসের মধ্যে সোনার দাম এখন সবথেকে বেশি কম। এর মধ্যেই ভারতে শুরু হতে চলেছে উৎসবের মরশুম। উৎসবের মরশুমে সোনার চাহিদা এমনিতেই খুব বেশি থাকে। উৎসবের মরসুশু সোনার দাম অনেকটাই কম থাকতে পারে, কারণ আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বুধবার সুদের হার ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩-৩.২৫ শতাংশ করে দিয়েছে। মে মাসে অক্ষয় তৃতীয়ার সময় সোনার দাম অনেকটাই বেশি ছিল। কিন্তু সেই সময়ও সোনার বিক্রিতে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল। অক্ষয় তৃতীয়ার সময় সোনা কেনা অনেকেই শুভ বলে মনে করেন। সেই সময় সোনার ১০ গ্রামের দাম ছিল ৪৮০০০ টাকা। গয়না বানানোর ২২ ক্যারেট সোনার ১০ গ্রামের দাম বুধবার ৪৫৮০০ টাকা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই দাম কিছুটা বেড়ে ৪৬০০০ টাকা হয়েছে।
অল ইন্ডিয়ান জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আশিস পেথে জানিয়েছেন যে, নবরাত্রি উৎসব সোমবার শুরু হতে চলেছে। এই সময় খুবই খুশির খবর হল সোনার দাম অনেকটাই কম। সোনার দাম ৫০০০০ টাকার কম হওয়ার কারণে বিক্রি অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, আগামী দিনে সোনার চাহিদা বাড়লেও সোনার দাম বাড়ার খুব বেশি সম্ভাবনা নেই। সেই সময় সোনার দাম বাড়লেও ৪০০ বা ৫০০ টাকার বেশি বাড়বে না।এপ্রিল মাসে সোনার দাম ৪৮৪০০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। ২০২২ সালে যা ছিল সব থেকে বেশি। ডলারের দাম যদি একইভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে সোনার দাম ৪৪৯০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। ভারতে আগামী মাস থেকেই শুরু হবে বিয়ের মরশুম। বর্তমানে সোনার দাম কম হওয়ার ফলে এখন থেকেই বিয়ের গয়না তৈরি করার অ্যাডভান্স বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে ধীরে ধীরে এই বুকিং আরও বাড়তে পারে।
ভিমা জুয়েলার্সের চেয়ারম্যান বি গোবিন্দন জানিয়েছেন যে, নাগরিকেরা প্রতিদিন সোনার দামের ওপর নজর রাখছেন এবং ১০% অ্যাডভান্স পেমেন্ট করে জুয়েলারি বুক করা শুরু করে দিয়েছেন। সোনার বাজারের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, টাকার দামের পতন হওয়ার ফলে সোনার দামের বৃদ্ধি অনেকটাই আটকে। ডলারের বৃদ্ধির ফলে সোনার দাম কিছুটা বাড়তে পারে। শুক্রবার সুদের হারের বৃদ্ধির ফলে ডলারের ইনডেক্স ১১১.৬ তে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে।