গোয়ায় কি নিজের শক্তি বিস্তৃত করতে পারবে মুখ্যমন্ত্রী

তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ফেরার পর থেকে নিজের সকি বিস্তৃত তৎপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার বিধানসভা নির্বাচন জেতার পর অন্য বিজেপি শাসিত রাজ্যের দিকে নজর দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় পুরভোতে লড়ে ফেলেছে তারা, যদিও তেমন একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি। তবে লড়াই যে তারা চালিয়ে যাবে তা আগেই জানিয়েছেন ঘাসফুল শিবির। সেই প্রেক্ষিতে গোয়া নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। কিন্তু সেখানেও কিছু কি করতে পারবে তৃণমূল? ভোটের ফল কেমন হতে পারে সেখানে? তার ইঙ্গিত মিলছে সমীক্ষায়।

সমীক্ষা দাবি করছে যে, গোয়ায় তেমন কিছুই সুবিধা করতে পারবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। বরং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি ভাল ফল করতে পারে সেখানে। সম্প্রতি পঞ্জাব পুর নির্বাচনে দারুণ ফল করেছে তারা। বিজেপি এবং কংগ্রেসকে টপকে গিয়েছে আপ। গোয়াতে একে না থাকলেও, দ্বিতীয় হতে পারে কেজরি বাহিনী, সমীক্ষা বলছে এমনই। অনুমান করা হচ্ছে, আম আদমি পার্টি পঞ্জাবে ১১৭ টি আসনে ৫৩ থেকে ৫৭ টি আসনে জিততে পারে। তবে  গোয়াতে সেই বিজেপিই ক্ষমতায় ফিরবে বলে পূর্বাভাস সমীক্ষার। ৪০ আসন বিশিষ্ট গোয়ায় বিজেপি ১৭ থেকে ১৮ টি আসন পেতে পারে। ৭ থেকে ১১ আসন পেয়ে দ্বিতীয় হতে পারে আম আদমি পার্টি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস গোয়ায় একটিও আসন পাবে না বলে জোর দাবি।

সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে অধিকাংশ রাজনৈতিক গবেষকরা মনে করছেন, ‘আপ’-এর উত্থান বিজেপির থেকে বেশি ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসের জন্য। একদিকে অন্যান্য রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের ঘর ভাঙার কাজ করেই চলেছে। অন্যদিকে পঞ্জাবের মতো কংগ্রেসি রাজ্যে পুরভোটে হার, আবার ‘আপ’-এর গোয়ার দ্বিতীয় হওয়ার জল্পনা, সব মিলিয়ে ব্যাপকভাবে চাপ বাড়ছে হাত শিবিরের ওপর। এখন যা পরিস্থিতি তাতে একক লড়াইয়ে কংগ্রেস কতদূর কী করতে পারবে তা স্পষ্ট হচ্ছে না। বিজেপি ছাড়াও তাদের লড়তে হচ্ছে বাকি বিরোধীদের সঙ্গে।