বেশ কয়েকবছর আগে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তৃণমূলের পরবর্তী উত্তরসূরী কে হবেন? তা তিনি ঠিক করে ফেলেছেন। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। তবে সম্প্রতি কুনাল ঘোষ থেকে অপরূপা পোদ্দারের মতো তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের ট্যুইটে জোরাল হয়েছে সেই জল্পনা। এই পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার অসমে গিয়ে, অভিষেক জানান, ‘আমি প্রথম দিনই বলেছি, দল আমাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে, আমি সেই কাজ করছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আমাদের সর্বোচ্চ নেত্রী। এবং তাঁর নেতৃত্বে বাংলা যেন দেশকে পথ দেখায়। এই মুহূর্তে আমার লক্ষ্য তৃণমূলকে আরও ১০টি রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।’
উল্লেখ্য, তৃতীয় তৃণমূল সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তির দিন থেকেই এনিয়ে আলোচনা শুরু হয় রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের লেখায়, তিনি লেখেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মত উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার একধাপ এগিয়ে ট্যুইট করে বলেন, ‘আমি চাই, আমাদের দিদি ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন আরএসএস মনোনীত রাষ্ট্রপতির থেকে। আর এই বিজেপির গোবর্ধন জগদীশ ধনকড়ের থেকে বাংলায় ২০২৪-এ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন আমাদের প্রিয় যুবনেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তবে এনিয়ে উল্টো সুর শোনা যায় মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলায়, তিনি বলেন, কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন এই মুহূর্তে ভাবতেই পারছিনা। কারণ, মমতাই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। অভিষেক তো বলেছে, কুড়ি বছর সরকার নিয়ে ভাববে না। তারপরও কেন লোকে বলে জানি না। মমতা যেভাবে চালাচ্ছেন, দীর্ঘদিনের ইতিহাস তৈরি করবেন। মমতার পর কে নেতা হবেন, তা মমতা যতক্ষণ আছেন, বলতে পারছি না।’