এত কিছুর পরও কেন বাতিল করা হচ্ছে না নিট পরীক্ষা? মঙ্গলবার পরীক্ষা হওয়ার পরদিনই যেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে ইউজিসি-নেট বাতিল হল, সেখানেই নিট পরীক্ষা কেন বাতিল হল না, সেই প্রশ্ন উঠছে বারংবার। এবার এর ব্যাখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বললেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের জেরে সীমিত সংখ্যক পরীক্ষার্থীই প্রভাবিত হয়েছে। নিট পরীক্ষা বাতিল করা হলে লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী, যারা নায্য ও সৎ ভাবে পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তারা প্রভাবিত হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, তবে তাতে খুব কম সংখ্যক পরীক্ষার্থীই প্রভাবিত হয়েছে। ২০০৪ ও ২০১৫ সালে যখন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল, তাতে বৃহত্তর ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছিল, যে কারণে পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। যদি এবার নিট পরীক্ষা বাতিল করা হয়, তবে লক্ষাধিক পডুয়া প্রভাবিত হবে।” তিনি আরও জানান যে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্ট যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই-ই চূড়ান্ত হবে। এছাড়া তিনি বলেন, “পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার ব্যর্থতার কারণ খতিয়ে দেখতে সরকার উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করবে। তবে পরীক্ষা বাতিলের কোনও প্রয়োজন ছিল না। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে যারা সৎভাবে পরীক্ষা দিয়েছিল, তাদের কেরিয়ারকে প্রশ্নের মুখে ফেলা সঠিক নয়।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিট-র তদন্ত নিয়ে বলেন, “বিহার পুলিশের সঙ্গে আমরা ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছি। আমরা ওদের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্ট হাতে পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ করব। সিস্টেমে ভরসা রাখুন। কোনও ধরনের বেআইনি কাজ বরদাস্ত করবে না সরকার।” একইসঙ্গে নিট পরীক্ষা নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতি না করার অনুরোধও করেছেন তিনি। এনটিএ-র শীর্ষ কর্তা সহ প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে অভিযুক্ত সকলকেই কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানান।