স্ত্রীকে খুন করে, ‘আত্মঘাতী’ স্বামী, চলছে তদন্ত

একদিকে বিছানায় পড়ে রয়েছে স্ত্রী-র দেহ, পাশেই ঝুলছেন স্বামী। দেওয়ালে লেখা ‘একসঙ্গে যাব’। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এই সব দেখে অনুমান করে, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর মাঝবয়সী নীলকণ্ঠ বাউরি আত্মঘাতী হন। পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের উখড়ার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির ভুয়াপাড়ার ঘটনা। নীলকণ্ঠর স্ত্রীর নাম লিলি বাউরি বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ছেলে বাড়ি ফিরে দরজা ভাঙতেই বাবা-মায়ের দেহ দেখে। ভুয়াপাড়ায় শুক্রবার সাত সকালে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ইতিমধ্যে, দেহ উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে যেটা জানা যাচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেছিল। বুধবার রাতে সেই বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। সম্ভবত, তখনই নীলকন্ঠ বাউরি দেওয়ালে ‘আমরা একসঙ্গে যাব’ লিখেছিলেন। তার পরপরই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন, এবং গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা। ছেলে রহিত বাউরির দাবি, পাশে মামার বাড়িতে রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মাকে ফোন করে কোনো উত্তর পাননি রহিত। উত্তর না পেয়ে বাড়িতে যান।’ কিন্তু সেখানে দরজা বন্ধ দেখে কিছু একটা সন্দেহ হয়েছিল তাঁর। অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে দেখেন, দেহ পড়ে রয়েছে মা-বাবার। ঘটনায় শোকস্তব্ধ ছেলে। পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।