সমস্ত রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী লোকসভা নির্বাচন। এখন থেকেই একদম স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দেশের বিরোধী দলগুলির লক্ষ্য। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকেই পাখির চোখ করেছে তারা। আর এই মুহূর্তে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির অন্যতম বড় মুখ হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনেক আগে থেকেই বিরোধী পক্ষকে এক ছাতার তলায় আনার প্রচেষ্টা করে চলেছেন তিনি। এবার এই প্রেক্ষিতেই হয়তো কিছু ভেবেছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)। সম্প্রতি তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছেন বলে খবর। শুধু মমতা নয়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ আরও একাধিক নেতার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে খবর।
আজ ১৮ জুলাই সংসদের অধিবেশন শুরু হয়েছে। তার আগে এইভাবে বিরোধী পক্ষের মধ্যে ফোনালাপ যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ তা হলফ করেই বলা যায়। শোনা গিয়েছে, মমতা, কেজরি ছাড়া কেসিআর ফোন করেছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনকেও।
ঠিক কী আলোচনা তাদের মধ্যে হয়েছে তা না জানা গেলেও এটা মনে করা হচ্ছে যে, বিরোধী ঐক্য এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আরও কড়া মনোভাব প্রসঙ্গে কথাবার্তা হয়ে থাকতে পারে। এছাড়াও সংসদেও সরকারের বিরুদ্ধে ঠিক কেমন ভাবে আক্রমণ শানান যায় সেই ব্যাপারেও আলোচনা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।
ইতিমধ্যে সংসদে একাধিক শব্দ ‘অসংসদীয়’ করা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বিরোধীরা কার্যত এক হয়েই বিজেপি সরকারকে একহাত নিচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, সাংসদদের মুখে লাগাম টানতে এই ব্যবস্থা করেছে তারা। যদিও খোদ লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লা জানিয়েছেন, কোনও শব্দ নিষিদ্ধ করা হয়নি, সবাই নিজের মতো করেই বক্তব্য রাখতে পারবেন, সেই অধিকার কারোর কখনও কাড়া হবে না।