“রাজনীতিতে এখনও সক্রিয় থাকতে চান”। তাই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে থাকতে ইচ্ছুক নন বর্ষীয়ান রাজনীতিক (Politician) শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। বিরোধীদের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে শরদ পাওয়ারের নাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব করা হলেও রাজি নন এনসিপি সুপ্রিমো (NCP Supremo)। তাই, আগামীদিনে সর্বসম্মতভাবে প্রার্থী ঠিক করবে তারা, বৈঠক শেষে এমনই জানিয়ে দিল বিজেপি-বিরোধী শিবির।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যৌথ কৌশল ঠিক করতে বিরোধী শিবিরের বৈঠক ডাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হাজির হয় বাম-কংগ্রেস-সহ ১৭টি দল। তৃণমূল ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন- কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিএম, সিপিআইএমএল, আরএসপি, শিবসেনা, এনসিপি, আরজেডি, এসপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, জেডি(এস), ডিএমকে, আরএলডি, আইইউএমএল ও জেএমএম-র প্রতিনিধিরা। তবে, গরহাজির ছিল- আপ, বিজেডি, টিআরএস-সহ ৫টি রাজনৈতিক দল। আজ দিল্লির কন্সটিটিউশন ক্লাবে হয় বৈঠক। প্রথমে সর্বসম্মতভাবে শরদ পাওয়ারের নাম প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু, সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এনসিপি নেতা।
বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একাধিক দল আজ হাজির হয়েছিল। আমরা সর্বসম্মতভাবে একজন প্রার্থী ঠিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রত্যেকই সেই প্রার্থীকে সম্মতি জানাবেন। আমরা অন্যদের সঙ্গেও আলোচনা করবা। এটা ভাল শুরু। বেশ কয়েকমাস পর আমরা একসঙ্গে বসেছিলাম। আমরা আবারও বৈঠক করব।” এদিকে শরদ পাওয়ার রাজি না হওয়ায় বিকল্প হিসেবে ২জনের নাম প্রস্তাব করেছেন মমতা। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ফারুক আবদুল্লা ও গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর নাম প্রস্তাব হিসেবে রাখেন তৃণমূলনেত্রী।
বিরোধীদের তরফে সুধীন্দ্র কুলকার্নি বলেন, “আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সর্বসম্মতভাবে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরোধী নেতৃত্ব। এমন একজন প্রার্থী যিনি সংবিধানের রক্ষাকর্তা হিসেবে কাজ করবেন। ভারতীয় গণতন্ত্রের আরও ক্ষতি করা থেকে মোদি সরকারে আটকাবেন।”