আচমকাই চলে গেছেন তিনি। গত বছর নভেম্বর মাসে প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বর্তমানে তাঁর দফতর বন্টন করা হয়ে গেলেও বিধানসভায় তাঁর ঘর ফাঁকাই রয়ে আছে। সেই ঘরে কে বসবেন এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, এই ঘরে বসার জন্য একাধিক আবেদন পত্র জমা পড়েছে। মন্ত্রীদের মধ্যে অনেকেই এই ঘরে বসতে চেয়েছেন। তবে শেষমেষ কে সুযোগ পাবেন ওই ঘরে বসার, তা অজানা আপাতত।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের পাশে আছে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘর। তার পরের ঘরেই বসতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এমনিতে বিধানসভায় প্রত্যেক মন্ত্রীর জন্য আলাদা আলাদা ঘর আছে। তবে এখন যেহেতু এই ঘর ফাঁকা পড়ে রয়েছে তাই এই ঘরে আসার জন্য অনেকেই আবদার করেছেন। শোনা গিয়েছে, চার জন পূর্ণমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছেন এই ঘরে বসার জন্য। তবে এই ঘর নেওয়ার জন্য এত আবেদন কেন? রাজনৈতিক অভিজ্ঞদের মতে, সকলেই চাইছেন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে থাকতে। তাই তাঁর ঘর লাগোয়া ঘর নিয়ে হইহই শুরু হয়েছে।
এদিকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের ঘরও ফাঁকা রয়ে আছে কারণ তিনিও মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সেই ঘরে হয়তো পেতে পারেন বর্তমান অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই হিসেব অনুযায়ী, প্রাক্তন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ঘর পাওয়ার কথা রাজ্যের বর্তমান পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায়ের। কিন্তু তিনি যে ঘরটি পাবেন সেটাও নিশ্চিত নয় এখনই। কে কোন ঘর পাবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরবর্তী বিধানসভা অধিবেশনের আগেই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে বলে অনুমান।