দিল্লি সফরে গিয়েই বিভ্রান্তির মাঝে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী

উপনির্বাচন ও রাজ্য বিধানসভা ভোটে দু জায়গাতেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে রাজ্যের শাসক দলের লক্ষ্য এখন ত্রিপুরা। এরই মাঝে ত্রিপুরায় পুরভোটের আবহেই দিল্লি সফরে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একাধিক কর্মসূচি থাকার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাঁর। কিন্তু এই রাজধানী সফরের প্রথম দিনেই অন্ধকারে থাকতে হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কারণ, বিদ্যুৎ বিপর্যয়। প্রায় ৪৫ মিনিট তিনি আঁধারে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্থায়ী ঠিকানা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলো ১৮৩, সাউথ অ্যাভিনিউ।  কিন্তু সেখানে পৌঁছে তিনি অন্ধকারে থাকলেন বেশ কিছুক্ষণ। কারণ, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জেরে সেই সময় কারেন্ট ছিল না। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কথা স্বীকার করে নিয়েছে সরবরাহকারী সংস্থা এনডিএমসি। উল্লেখ্য, এই সংস্থা সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রের অধীনস্থ। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যান এই বাড়িতে। বিকেলে সব ঠিক থাকলেও সন্ধের পর হঠাৎ এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। প্রসঙ্গত, রাজধানীতে ৪ দিনের সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, শুধু এখানেই বিদ্যুৎ ছিল না এমনটা নয়। সাউথ অ্যাভিনিউয়ের সাংসদদের অনেকেরই বাসভবন ওই এলাকায়। অদূরে রাইসিনা হিলস, রাষ্ট্রপতি ভবন। সব জায়গাতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে কারেন্ট ছিল না বেশ কিছুক্ষণ।

গতকাল দিল্লি যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা জানিয়েছিলেন যে, রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তো কথা বলবেন এছাড়াও তিনি মূলত বিএসএফ ইস্যু নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছেন।  মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, বিএসএফ তাঁর শত্রু নয়, তাঁর বন্ধু। কিন্তু গায়ের জোরে তিনি এলাকা দখল করতে দেবেন না। বিজেপি মনে করছে বিএসএফ মানে বিজেপি, বিএসএফ মানে বিজেপি সেফ, এটা তো ঠিক নয়। প্রত্যেকটা সংগঠনের একটা নিজস্বতা আছে। এই প্রেক্ষিতেই মমতার অভিযোগ যে বিজেপি গায়ের জোরে বিভিন্ন এজেন্সিকে নিজেদের কাজে লাগাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই মমতা বলেন যে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি জানতে চাইবেন, বিএসএফ মানে বিজেপি সেফ কি না।