দ্বন্ধ পৌছলো শিখরে, রাজ্যপালকে ব্লক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

দ্বন্দ্ব লেগেই আছে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মাঝে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে টুইটারে ‘ব্লক’ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি নিজেই জানিয়েছেন এই কথা। কেন ‘ব্লক’ করেছেন তাও স্পষ্ট করেছেন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যেই আবার টুইট করে এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন স্বয়ং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এই নিয়ে এখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তবে হঠাৎ রাজ্যপালকে কেন ‘ব্লক’ করলেন মমতা, তার ‘আসল’ উত্তর দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল ইস্যুতে মুখ খুলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছেন যে, রাজ্যপাল সংবিধানের বাইরে গিয়ে কিছুই করেননি। করেছেন বলে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলতে পারেননি। রাজ্যপালকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে সুকান্ত বলেন, সাংবিধানিক গণ্ডির মধ্যেই কাজ করছেন রাজ্যপাল। এই প্রসঙ্গেই সুকান্ত মজুমদার মমতার রাজ্যপালকে ‘ব্লক’ করার ‘আসল’ কারণ ব্যাখ্যা করেন। দাবি করেন, রাজ্যপাল যা প্রশ্ন করেন তার উত্তর থাকে না মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।

রাজ্যপালের প্রশ্ন থেকে পালাতেই তাঁকে ‘ব্লক’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এদিকে, এই ইস্যুতে টুইট করে খোদ রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ”সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫৯-এ বলা আছে, সাংবিধানিক নিয়ম-নীতি এবং আইনের শাসনকে কেউ ব্লক করতে পারেন না”। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন তাদের দেশের সংবিধানের ওপর আস্থা এবং ভরসা রাখা উচিত। খুব স্পষ্টভাবেই তিনি নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এদিন মমতা জানান, তিনি রাজ্যপালকে ব্লক করতে বাধ্য হয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, রাজ্যপালের কাছে বহু ফাইল, অনেক বিল আটকে রয়েছে। তিনি তাঁর সঙ্গে নিজে দেখা করতে গিয়ে এই ব্যাপারে কথা বললেও তাতে কোনও লাভ হয়নি। শুধুমাত্র রাজ্যপালের কারণেই একাধিক কাজ আটকে রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন মমতা। তিনি এও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই ইস্যুতে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।