আবার পুরোনো ছবি ফিরে আসায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন কান্তা প্রসাদ

লকডাউনে রোজগার বন্ধ। দেনার ভারে জর্জরিত। মন্দার জন্য মানসিক অবসাদে ছিলেন। এবার ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ‘বাবা কা ধাবা’-র কর্ণধার কান্তা প্রসাদ। কয়েক দিন আগেই ইউটিউবার গৌরব ওয়াসানের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। দক্ষিণ দিল্লির মালব্যনগরের বাসিন্দা এই অশীতিপর বৃদ্ধকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতে সফদর জং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিনি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি সঙ্কটজনক অবস্থায় আছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঁর ছেলে করণ জানান, রাতে মদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। গত কয়েক মাসে ব্যবসায় রোজগার ঠিক মতো না হওয়ায় অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সেখান থেকে আত্মহত্যা করেন। যদিও এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে বলেই তদন্ত চালাচ্ছেন পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গতবছর লকডাউনে হঠাৎই বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল “বাবা কা ধাবা” নামে দিল্লির একটি বিশেষ খাবারের দোকান। করোনার প্রথম লকডাউনের কারণে খরিদ্দার মারাত্মকভাবে কমে যায় ‘বাবা কা ধাবা’য়। যার জেরে দিন গুজরান করাই কঠিন হয়ে পড়েছিল মালিক কান্তা প্রসাদ এবং তার স্ত্রী বাদামী দেবীর জন্য। কিন্তু এই সময় হঠাৎ তাদের পাশে এসে দাঁড়ান বিখ্যাত ইউটিউবার গৌরব ওয়াসান। নিজে বাবা কা ধাবায় খাবার খেয়ে অন্যদেরকেও এই ধাবায় আসার অনুরোধ জানান তিনি। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই বিখ্যাত হয়ে ওঠে এই ছোট্ট খাবারের দোকানটি।

রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাদের খাবারও। আর্থিক সাহায্য করেন বহু মানুষ। এরপর নিজের রেস্তরাঁ খুলেছিলেন কান্তা। জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে ইউটিউবার গৌরব ওয়াসানের নামে টাকা সরানোর অভিযোগ করেন। তারপর থেকে নেটিজেনদের রোষে পড়েন তিনি। সেই সঙ্গে প্রভাব পড়ে ব্যবসাতেও। ধীরে ধীরে গ্রাহক কমতে থাকে। কিন্তু চলতি বছরে সেই দোকানে প্রায় কোনও রোজগার হয়নি। আবার ফিরে আসে আগের ছবি।