পরিস্থিতি যাই হোকনা কেন রাজ্যবাসীকে আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। ফুঁসতে শুরু করেছে সমুদ্র। শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ৷ বুধবার আছড়ে পড়তে চলেছে দিঘা ও বালেশ্বরের মাঝামাঝি এলাকায়। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম৷ উপস্থিত রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। “প্রাকৃতিক দুর্যোগকে রোখার পথ নেই, তবে মানুষের পাশে আছি”, মঙ্গলবার নবান্ন থেকে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যবাসীকে আগলে রাখার আশ্বাস দিলেন মায়ের মতো। রাতে নবান্নেই থেকে যাচ্ছেন তিনি। মোট ৩ লক্ষ মানুষকে নিয়ে দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেওযার কাজ চালানো হবে। প্রয়োজনে সেনা নামানো হবে বলেও আশ্বাস মমতার৷ যশ মোকাবিলায় রাজ্য সরকার বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের নিয়ে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ব্লক স্তর পর্যন্ত প্রস্তুতি রয়েছে৷ এক এক জন সিনিয়র আইএসকে এক একটি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ জেলা শাসকদের সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রাখছেন মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব৷ এলাকার বিধায়কদের চব্বিশ ঘণ্টা তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত দুই মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ গঙ্গাতেও জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়ে গিয়েছে৷ আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ওড়িশা হয়ে সাইক্লোনটি ঝাড়খণ্ড অভিমুখে রওনা হতে পারে। তারপরেই সেটি ধীরে ধীরে তার শক্তি ক্ষয় করবে। সাইক্লোন যশ আছড়ে পড়ার সময়ে ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার।