শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য উপযুক্ত পরিমাণে খাবার ও ক্যালোরি দরকার হয়, যাতে পুষ্টি থাকে একই সঙ্গে এনার্জিতে ভরপুর থাকে। খারাপ খাবার থেকে শুরু করে, খারাপ লাইফস্টাইল, বাড়তি মেদ বা ডায়াবেটিসের শিকার। জন্মের পর থেকে যখন একটি শিশু থাকা খাওয়া শুরু করে, বেশি পরিমাণে খারাপ, নোনতা এবং ফ্যাটে ভরপুর খাবার খাওয়া শুরু করে। তখন শরীরে ফ্যাটের মাত্রা বাড়তে থাকে। এবং তাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে শুরু করে। মুখের স্বাদের জন্য তারা এসব খাবার বেশি খেতে চায় কিন্তু তারা জানেও না নিজেদের কত বড় ক্ষতি ডেকে আনছে। বাবা মায়ের উচিৎ সেই বিষয়ে খেয়াল রাখা।
ন্যাশন্যাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে বয়স অনুযায়ী শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ক্যালশিয়াম, আয়রন, ক্যালোরি পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত। শিশুদের ডায়েটে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকলে, নানান ধরনের ক্রনিক রোগ তাদের শিকার করে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পিডিয়াট্রিক্সের পরামর্শ শিশুদের ২ বছরের কম বয়সে দুধ সেবন শুরু করা হয়ে থাকে। খাবারের সময়ে জলপান করানো থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছু ঘটনা ঘটে থাকে।
২ থেকে ৩ বছর বয়সীদের প্রতি বছর ১,০০০ থেকে ১,৪০০ কিলো ক্যালোরি প্রতিদিন হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। ৪-৬ বছর বয়সীদের প্রতিদিন ১,৪০০ কিলো ক্যালোরি প্রতিদিন হিসাবে খাবার প্রয়োজন। ৭ বছরে প্রতিদিন ১,৫৩০ থেকে ১,৬৫০ কিলো ক্যালোরি দরকার। ১০ বছর বয়সীদের প্রতিদিন প্রায় ১,৯০০ থেকে ২,০০০ কিলো ক্যালোরি পর্যন্ত দরকার। ১১ থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের প্রতিদিন ১,৮০০-২,২০০ কিলো ক্যালোরি খাবার দিতে পারেন। উপরোক্ত বিষয়গুলি মানতে বাধ্য করেনা নিজের বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নিন।