লং-কোভিড কি? প্রকাশ্যে এলো বড় তথ্য

গত দুই বছর করোনার দাপটে নাস্তানাবুদ হয়েছে গোটা বিশ্ব৷ এই করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে বিশ্বের মানুষকে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠলেও যে চিন্তা পুরোপুরি যায় না তা আবার টের পাওয়া গেল।

দীর্ঘমেয়াদি ভাবে কোভিডের উপসর্গ থেকে যাওয়ার কারণে মানুষের ফের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যে থাকে তা সকলেই জানেন। এই বিষয়টিকেই বলা হয় ‘লং-কোভিড’। এবার এই নিয়ে বড় তথ্য মিলল। সম্প্রতি বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘ল্যানসেট’ এই নিয়ে আপডেট দিয়েছে।

গবেষণায় জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণ যাদের হয়েছে তাদের মধ্যে প্রতি আট জনের এক জন লং-কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত বিশ্ব জুড়ে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ কোভিড আক্রান্ত হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই লং-কোভিডে আক্রান্ত।

এছাড়াও তাদের মধ্যে অন্য অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। যদিও এই বিষয়টি নিশ্চিত এখনও নয় যে যারা লং-কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন তারা আগে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। সেই প্রেক্ষিতে বলা যায়, লং-কোভিডের যা উপসর্গ, সেই একই উপসর্গ থাকায় আক্রান্তদের ধরে নেওয়া হচ্ছে যে তাঁরা কোভিড আক্রান্ত ছিলেন।

উল্লেখ্য, লং কোভিডের মূল উপসর্গ হল, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পেশির যন্ত্রণা, স্বাদ ও গন্ধ চলে যাওয়া, ক্লান্তি। তাহলে বারবার কোভিড আক্রান্ত হলে কি ইমিউনিটি বাড়বে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক আধিকারিকের কথায়, করোনার ভাইরাস খুব দ্রুত নিজের রূপ বদলে ফেলে।

তাই একাধিক বার করোনা আক্রান্ত হলে যে ইমিউনিটি বাড়বে তার কোনও মানে নেই। কিছু সময়ের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়লেও তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না, কারণ নতুন রূপে সে ফিরে আসবে।