আজ, ২ অক্টোবর জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ১৫৪তম জন্মদিবস। সারা দেশে দিনট ন্যাশনাল হলিডে হিসেবে পালিত হয়। তবে ২০০৭ সালে গান্ধীর জন্মদিনটি অন্য মাত্রা পেয়ে গেল। রাষ্ট্রসংঘ ওই বছরের ১৫ জুন ২ অক্টোবর দিনটিকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ নন-ভায়োলেন্স’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর ফলে গান্ধীর জন্মদিনটি এক প্রত্যক্ষ আন্তর্জাতিকতা লাভ করে।
ব্রিটিশের কবল থেকে ভারতকে মুক্ত করতে সারা জীবন নানা রকম আন্দোলন করেছেন মহাত্মা গান্ধী। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পিছনে যাঁদের যাঁদের অবদান ছিল, তাঁদের মধ্যে গান্ধীর অবদান সম্ভবত সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হয়।
জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী অবশ্য শুধু স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্যই বিখ্যাত নন, তাঁর জীবনযাপনের যে-রীতি ও শিক্ষা, তাঁর জীবনদর্শন– সমস্তই আধুনিক পৃথিবীর কাছে দিশার মতো বলে মনে করা হয়।গান্ধী সত্যাগ্রহকে প্রতিবাদের হাতিয়ার করেছিলেন। সেই হাতিয়ার নিয়েই তিনি লড়াই করে গিয়েছিলেন। কখনও হিংসার আশ্রয় নেননি। তাঁর জীবনভর এই লড়াই বিশ্বের স্বীকৃতি পেল অবশ্য তাঁর মৃত্যুরও ঢের পরে– ২০০৭ সালে। এই বছরই রাষ্ট্রসংঘ গান্ধীর জন্মদিবসটিকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ নন-ভায়োলেন্স’ হিসেবে ঘোষণা করে।