গত বছর শেষ হলেও শীতের দেখা পায়নি রাজ্য। চলতি বছরের শুরুতেও আশা জেগেছিল যে রাজ্য জুড়ে শীত পড়তে পারে জাঁকিয়ে। কিন্তু জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার আগেই শীতের বিদায়। এমনটা কল্পনা করা যায় না, কিন্তু এই বছর হয়তো এটাই হতে চলেছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে রাজ্যে বদলাচ্ছে আবহাওয়া এবং শীত খুব তাড়াতাড়ি বিদায় নিতে চলেছে বলেই পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। আরও খারাপ বিষয়, আগামীকাল থেকেই বাইরে বেরোলে ছাতা সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বিগত কয়েক দিন ধরেই শীত কমতে শুরু করেছিল বঙ্গে। এখনও যে তেমন একটা ঠান্ডা রয়েছে তা নয়। এবার বলা হচ্ছে, শীত আরও কমতে পারে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আজ বিকেলের পর থেকেই বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া সহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এদিকে, কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে কিন্তু বেশি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দার্জিলিঙ ও কালিম্পংয়ে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান হয়েছে। জানুয়ারির শীতলতম দিন ছিল গত ৪ তারিখ, মঙ্গলবার। ওইদিন তাপমাত্রা ছিল ১২.৭ ডিগ্রি। তবে আবার তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে এবং আগামী কয়েক দিন আরও বাড়বে বলেই জানান হচ্ছে। এর আগেও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে বৃষ্টিপাত হয়েছে বঙ্গে, ডিসেম্বর মাসে। একবার ফের এই কারণেই ‘শ্রাবণের ধারা’।
এর আগে হাওয়া মহল জানিয়েছিল, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আফগানিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে থেকে পূর্ব ভারতের দিকে আসছে। এর কারণে চলতি সপ্তাহ থেকেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে বাংলায়। উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল এবং এর কারণেই এ বছরের মতো শীতের দাপট কমতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। আগামীকাল থেকে গঙ্গা তীরবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি হওয়ার কথা। তার পরবর্তী সময় ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলা এবং উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি ঢুকবে।