বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে আজ থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, কর্মসংস্থান ও শিল্পে বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে এবারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্যের বিশিষ্ট শিল্পপতিদের পাশাপাশি, এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন আদানি গোষ্ঠীর প্রধান গৌতম আদানি, টাটা স্টিলের এমডি টি ভি নরেন্দ্রণ, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ও রিশাদ প্রেমজি। অন্যদিকে রাজ্যের তরফে উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর গৌতম আদানি জানিয়েছেন, বাংলা নিয়ে আমি বরাবর আগ্রহী। আদানি গ্রুপ আরবসাগরের তীর থেকে ব্যবসা শুরু করেছিল। মহিলা ক্ষমতায়ন বাংলার মতো অন্য রাজ্য কেউ ভাবে না। কন্যাশ্রী যে কারণে এত সফল। তাই ইউনাইটেড নেশনস থেকে পুরষ্কার পেয়েছে। সবুজ সাথী ও উৎকর্ষ বাংলায় মানুষ উপকৃত। আপনার পপুলারিটি, ক্যারিশ্মা অবিস্মরণীয়। আমাদের ফোকাস অনেক বড়। পরিকাঠামো নিয়ে আমরা আগেই কমিট করেছি। আদানি গ্রুপ ডেটা সেন্টার, আন্ডার সি কেবল, সেন্টার ফর এক্সেলেন্স, লজিস্টিক পার্ক ও ফরচুন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছে। তাই আমাদের সমস্ত অভিজ্ঞতা বাংলাকে দেব। আমরা টেকনোলজি দেব বাংলাতে। বাংলার আশা আমরা পূরণ করব। আদানি গ্রুপ বাংলাতে ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ করবে, ১০০০০ কোটি টাকার এক্সপেনশন করবে। পাশাপাশি বাংলাতে ২৫০০০ কর্মসংস্থান হবে।
উল্লেখ্য, আদানির বক্তব্যের পর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে টাটা স্টিলের এমডি টি ভি নরেন্দ্রণ জানান, টাটা স্টিল দীর্ঘদিন ধরে এখানে বিনিয়োগ করে এসেছে। ৬০০ কোটি বিনিয়োগ হবে খড়গপুরে। ইউনিট আরও বাড়বে। এছাড়া টিসিএস ও হোটেলেও বিনিয়োগ করব আমরা। এছাড়াও উইপ্রোর রিশাদ প্রেমজি জানিয়েছেন আমাদের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যের যোগাযোগ আছে। রাজারহাটে আমরা কাজ শুরু করছি আগামী কয়েক মাসে। তবে বাংলার আশাপূরণের ক্ষেত্রে বাদ যাননি আইটিসি চেয়ারম্যান এবং এমডি সঞ্জীব পুরিও, তিনি জানান, অনেক দিন পরে সবার সঙ্গে দেখা হল। আইটিসির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক কলকাতার সঙ্গে। পাঁচলায় ফুড প্রসেসিং করছি আমরা। কৃষি ও পর্যটন এই দুই ক্ষেত্রেই আমাদের আগ্রহ। বাংলা যে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে, তা সাধুবাদ যোগ্য। কলকাতা আমাদের কাছে একটা ঘর। রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত পরিবেশ আছে। ৪৫০০ কোটি টাকা গ্রিন ফিল্ড ফেসিলিটিতে আমরা বিনিয়োগ করেছি। ফুড প্রসেসিংয়ে আমরা বিনিয়োগ করছি। বাংলার পর্যটনে অনেক বিনিয়োগের জায়গা আছে।