হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ড অভিযোগ নিয়ে এবার মুখ খুললেন বাংলার নিজের মেয়ে তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গনের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশ এখনও বিষয়টাই জানতে পারেনি। এই যে বারবার দেখাচ্ছে, একটা বাচ্চা মেয়ে নাকি মারা গিয়েছে রেপড হয়ে। আপনি রেপড বলবেন? নাকি প্রেগন্যান্ট বলবেন? না লাভ অ্যাফেয়ার্স বলবেন? এটা ইনকোয়ারি করেছেন কি? আমি পুলিশকে বলেছি এটা। তবে এই ঘটনার নিন্দা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত। পাশাপাশি একাধিক সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী, তিনি জানান, চ্যানেলগুলো টাকা দিচ্ছে, আর টিআরপি বাড়াচ্ছে। আর সারাক্ষণ খুন-খারাপি দেখিয়ে যাচ্ছে। ১২ কোটি লোকের জায়গা এখানে। অনেক ঘটনাই ঘটে না। আবার কোনও ঘটনা ঘটে যায় তার মধ্যেও, যেটা আমরা কেউই চাই না।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ৫ তারিখে এলাকার এক বন্ধুর জন্মদিনে গিয়েছিল এলাকার এক কিশোরী। রাতে সেখান থেকে ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। যদিও সেখানে নিয়ে গিয়ে কোনও লাভ হয়নি। সেই রাতেই মারা যায় কিশোরী। রাতেই তার বাড়ির কাছে একটি শ্মশানে দাহ করা হয় মৃতদেহ। তারপরই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসতে শুরু করে। এরপর দুইদিন আগে নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে হাঁসখালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালী গ্রেফতার হয় । অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার ছেলে । ফলে এই ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছে শাসকদল । তাই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ওই ঘটনা নিয়েই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিকে আজ নদিয়ার হাঁসখালিতে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের তরফে আজ প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধান বিচারপতি মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামিকাল জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে খবর।ধর্ষিত হয়েছিল নাকি অন্তঃসত্ত্বা ছিল? হাঁসখালি কান্ড নিয়ে প্রশ্ন মমতার।