ফিরতে চলেছে পূর্বের বিভিষিকাময় স্মৃতি। গতবছর আমফানের স্মৃতি উস্কে আবার আছড়ে পড়তে চলেছে আরও এক ঘুর্ণিঝড়। এক বছরের মধ্যেই আবারও ফিরতে চলছে ভয়ঙ্কর স্মৃতি। সতর্কতা জারি হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘যশ’। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় দুই জেলায় শুরু হল সতর্কতা প্রচার। পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলে মাইকে প্রচার। মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি। তৈরি রাখা হচ্ছে সাইক্লোন সেন্টার। পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর আন্দামান সাগরের উপর চোখ রাঙাচ্ছে সাইক্লোন। বাংলার দিকেই এই ঝড়ের অভিমুখ।
ইতিমধ্যেই দিঘা, মন্দারমণির সমুদ্র উপকূলে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। সমুদ্রের বুকে ছুটে বেড়াচ্ছে কোস্ট গার্ডও। কোনও ট্রলারকে সমুদ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। গতবছর আমফান ঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে যায় একাধিক জেলা। ভেঙেচুরে যায় অসংখ্য ঘরবাড়ি। উপড়ে পড়ে গাছ। বহু জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই, এবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ভ্রুকুটি। যার পূর্বাভাস পাওয়া মাত্র, আগাম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম সহ নদিয়াতেও। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সহ উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি ইত্যাদি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।