বিরোধীরা দাবি করেছিলেন, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বহিরাগতকে প্রার্থী করেছে রাজ্যর শাসকদল। তবে সেই অভিযোগকে তুরি মেরে উড়িয়ে দিয়ে তৃনমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছিলেন, আমি আপনাদের লোক। আমি বহিরাগত হলে ইনসাইডার কে? আসানসোলে ৫০% হিন্দিভাষী ভোট। তুমি তাদের ভোট চাইতে যাচ্ছো। তুমি তাদের নেতা বাছতে দিচ্ছো না। আর আমাকে বহিরাগত বলছো? আমি দেশের মানুষ, আমি দেশের সন্তান। ইন্দিরা গান্ধি থেকে রাহুল গান্ধি। সুচেতা কৃপালিনী থেকে সুষমা স্বরাজ। সবাই অন্য রাজ্যে গিয়ে লড়েছেন ।আর আমি বহিরাগত হলে, প্রধানমন্ত্রী তো বারাণসীতে লড়তে এলেন। তাহলে কী করে আমি হলাম বহিরাগত আর উনি হলেন ইনসাইডার।
তবে যে যাই বলুক না কেন সেই বহিরাগত বাবুই এবার খেলা দেখাচ্ছেন আসানসোলে। অর্থাৎ এই প্রথমবার শত্রুঘ্নর হাত ধরে আসানসোলে ঘাসফুল ফোটার দৃশ্যটি দেখতে চলেছেন রাজ্যের শাসকদল। ইতিমধ্যে এক লাখ ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন বিহারিবাবু শত্রুঘ্ন সিনহা । অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী ১ লাখ ৪০ হাজার ভোটে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। মূলত, পাণ্ডবেশ্বর, বারাবনি, জামুড়িয়া, আসানসোল উত্তর, রানিগঞ্জ, কুলটিতে এগিয়ে তৃণমূল। শুধু আসানসোল দক্ষিণে এগিয়ে থেকে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল রয়েছেন ২ নম্বরে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে আসানসোলে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু, গত বছরই বিজেপি ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেন। তাই ওই কেন্দ্রে ১২ এপ্রিল উপনির্বাচন হয়েছে। আর সেখানে সবাইকে একেবারে চমকে দিয়ে প্রার্থী হিসেবে মমতা বেছে নেন শত্রুঘ্নকে। আসলে সেখানে হিন্দিভাষী ভোটারের সংখ্যা অনেক বেশি। সেই কারণেই তৃণমূলের তরফে শত্রুঘ্নকে বেছে নেওয়া হয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।