দ্রুত সরকারি শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ

এই মুহূর্তে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় তোলপাড় পরিস্থিতি রাজ্যে জুড়ে। প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য, জড়িত হয়েছে বহু নাম। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ এই পরিস্থিতিতেই সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শূন্যপদের হিসেবে দিল রাজ্য সরকার।

এই বিষয়ে আদালতে জানান হল, ১৮ হাজারের কিছু বেশি রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং লাইব্রেরিতে শূন্যপদ ফাঁকা রয়েছে। তবে এখনও ১৮ হাজারের শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। দু’দিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজ্যের কাছে এই সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিলেন।

সেই তথ্যই বিস্তারিতভাবে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে, সেকেন্ডারিতে (নবম-দশম শ্রেণি) শূন্যপদ রয়েছে ১৩ হাজার ৫১২ টি, হাই সেকেন্ডারিতে (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) আছে ৫ হাজার ৩২৭ টি, এছাড়াও ২ হাজার ৩২৫ টি প্রধান শিক্ষকের পদ আছে।

যদিও আদালতের নির্দেশে কত নিয়োগ আটকে রয়েছে সেটা সরকার পরিস্কার করে কিছু বলেনি। এই তথ্য পাওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আদালতের নির্দেশ, অবিলম্বে ৩ হাজার ৯৩৬ টি শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে মেধাতালিকায় যারা আছেন তাদের র‍্যাঙ্ক এবং প্রাপ্য নম্বর প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়াও জানান হয়েছে, ভবিষ্যতে যদি কোনও শূন্যপদ সৃষ্টি হয় তাহলে নিয়োগের আগে তাঁদের প্রাপ্য নম্বর এবং মেধাতালিকায় তাঁদের রাঙ্কিং কত বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রকাশ করতে হবে।

শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হলফনামা দিয়ে জানাবেন কবে শূন্যপদে নিয়োগ করবেন। একই সঙ্গে নাম না করে বিচারপতির বক্তব্য, কেন বার বার বিশেষ ব্যক্তি আদালতের দিকে আঙ্গুল তুলে অভিযোগ করেছেন আদালতের কারণে চাকরি আটকে রয়েছে।

ভবিষ্যতে আদালতের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার আগে সত্যতা যাচাই করে নিতে হবে। বিচারব্যবস্থা ওপর এই ধরণের অভিযোগ এলে আদালত চুপ করে বসে থাকবে না। আরও একবার সতর্ক করা হল। বিচারপতির এও বক্তব্য, রাজনৈতিক ভাবে বিচার ব্যবস্থা র‍্যাগিং করা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে! (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসে আদালতের দিকে অভিযোগে আঙ্গুল তুলেছিলেন।

শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তারই উত্তর দিলেন)। উল্লেখ্য, গত শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, আদৌ কোনও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কিনা, বা থাকলেও তা কোথায় রয়েছে সেই তথ্য কলকাতা হাইকোর্টের কাছে পেশ করতে হবে। রাজ্যে সরকারের তরফে মাদ্রাসা এবং লাইব্রেরী সংক্রান্ত তথ্যও তলব করেছিল আদালত।