সমস্ত নিরাপত্তার বেড়া জাল পেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে ছিল এক অজ্ঞাত আগন্তুক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকে বেশ কয়েক ঘণ্টা ছিল হাফিজুল নামের এক যুবক। জানা যায় তাঁর বাড়িতে ঢোকার আগে একাধিক বার রেইকি করেছিল সে।
এমনকি বাড়ির সব তথ্য জানতে আশেপাশের বাচ্চাদের চকোলেট, কোল্ড ড্রিংক্স পর্যন্ত খাইয়েছিল। এমনকি হাফিজুলের কাছে ছিল লোহার রডও। পরিবার দাবি করেছে সে মানসিকভাবে অসুস্থ। কিন্তু তার আচরণে এমন কিছুই ধরা পড়েনি। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করার পর এখনও পর্যন্ত পুলিশ তেমন কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি হাফিজুলের বিরুদ্ধে।
আজ পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে তাকে আদালতে পেশ করে জেল হেফাজতের আবেদন করা। হয়। আদালত সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে হাফিজুলের জেল হেফাজত বাড়িয়েছে। আদালত জানিয়েছে, আগামী ১ অগাস্ট পর্যন্ত অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে রাখতে পারবে পুলিশ।
এদিন আদালতে তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাফিজুলই ঢুকেছিল কিনা তা স্পষ্ট করতে চায় তারা। তাই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সঙ্গে হাফিজুলের হাঁটাচলা মিলিয়ে দেখা হবে। এও জানান হয়েছে, রাজস্থান পুলিশ সম্প্রতি হাফিজুলের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছে তাদের কাছ থেকে।
ভিন রাজ্যেও সে কিছু ঘটিয়ে থাকতে পারে সন্দেহ। তাই তাকে আবার জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানান হয়। সেই প্রেক্ষিতেই ১ অগাস্ট পর্যন্ত অভিযুক্তকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে এখনও পর্যন্ত হাফিজুলের বিরুদ্ধে তেমন কোনও পোক্ত প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি পুলিশ।
তবে আগেই তদন্তকারী দল জানিয়েছিল, হাফিজুলের কাছ থেকে ১১ টি সিম কার্ড হয়েছে। বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং বাংলাদেশে একাধিকবার ফোনও করেছিল সে। তারা আরও জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির চারপাশ অন্তত সাত-আটবার রেইকি করা হয়েছিল।
রাতভর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঘাপটি মেরে বসে থাকার দিন দশেক আগেও একবার সেই এলাকা ঘুরে গিয়েছিল সে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ছবি তুলে সে হোয়াটস অ্যাপে কাউকে পাঠিয়েছিল।
এছাড়াও আগের বছর দুর্গা পুজোর সময়ে নদী পেরিয়ে সে বাংলাদেশ গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কাদের সঙ্গে দেখা করতে সে বিদেশে গিয়েছিল, মমতার বাড়ির তথ্য, ছবি সে আদতে কাদের পাঠাল তা কিছুই জানা যায়নি।