বিনা অনুমতিতে ভূগর্ভস্থ জল তুলে জারে ভরে করা হচ্ছে বিক্রি

শিয়ালদায় রমরমিয়ে চলছে বেআইনি পানীয় জলের কারবার। বিনা অনুমতিতে ভূগর্ভস্থ জল তুলে জারে ভরে করা হচ্ছে বিক্রি। এই অভিযোগ তুলে মেয়রের কাছে নালিশ ঠুকলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেছেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর দাদা। বিতর্কের মুখে বেআইনি কারবারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র। প্রথমে মাটির নীচ থেকে জল তোলা হচ্ছে। নামমাত্র ফিল্টারের পর বহুজাতিক সংস্থার জারে ভরে সেটাই রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। তবে অভিযোগ, শিলায়দা চত্বরে দিনের পর দিন এই কাজ চলছে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে।

আর তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, এই ঘটনায় এবার মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন খোদ কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর সচিন সিংহ। তাঁর অভিযোগ, বিনা অনুমতিতে ২৫ নম্বর নর্থ শিয়ালদহ রোডে অবৈধ জলের কারবার চালাচ্ছেন লতিফ খান ওরফে পাপ্পু নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি, বারবার এ নিয়ে পুরসভা-সহ একাধিক জায়গায় অভিযোগ জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। তিনি বলেন, মাফিয়া পাপ্পু এভাবেই বেআইনি কারবার করছে। জল তোলার জন্য নির্দিষ্ট যে সুইডের অনুমতি প্রয়োজন তা নেই। একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় জানানো হয়েছে কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তি মেয়রের কান পর্যন্ত এই খবর পৌঁছতে দেয়নি।”
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, পানীয় জলের বেআইনি কারবারের নেপথ্যে কি তাহলে কোন প্রভাবশালীর হাত রয়েছে?

গত ২০ ডিসেম্বর মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে অভিযোগ জানান ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। এরপর সেদিনই টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে বেআইনি পানীয় জলের বেআইনি কারবারের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিতে শোনা যায় ফিরহাদ হাকিমকে। তিনি বলেন, “বেআইনিভাবে জল তুলছে সরকারের কোনও অনুমতি ছাড়াই, এটা পুরো বেআইনি। এটা সেচ দফতরকে জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।” এতকিছুর পরও তৃণমূল কাউন্সিলরের তোলা এই বেআইনি কারবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অফিযুক্ত লতিফ খানের দাদা হায়দার নওয়াজ। তাঁর দাবি, “আমাদের কাছে সব কাগজ রয়েছে। মিথ্যে অভিযোগ। বরং কাউন্সিলর সচিন সিং এখানে অবৈধ পার্কিং থেকে সাট্টার ব্যবসা চালাচ্ছে, সবই করছে তার লোকেরা।” গত শুক্রবার পুরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলরের তোলা অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়র পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেও, এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু নজরে আসেনি বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে।