অবশেষে উত্তর মিলল এত বছরের খোজের৷ পৃথিবীর বাইরে আছে কি আরও একটা পৃথিবী? যেখানে রয়েছে আমাদের মতোই প্রাণ৷ ভিনগ্রহীদের উপস্থিতি নিয়ে যখন তীব্র জল্পনা চলছে, তখন খোঁজ মিলল পৃথিবীর দুই ‘সহদরা’র৷ হ্যাঁ, পৃথিবীর মতো আরও দুটি পৃথিবী রয়েছে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে। তবে শুধু পৃথিবী নয়, আস্ত সৌরমণ্ডলীর খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা অঙ্ক কষে জানালেন, পৃথিবী থেকে সেই সৌরমণ্ডলের দূরত্ব খুব একটা দূরে নয়। আর সেই সৌরমণ্ডলেই রয়েছে পৃথিবীর মতো একাধিক গ্রহ। শুধু গ্রহ বললে ভুল হবে। সেখানে রয়েছে গ্রহ-গ্রহানুপুঞ্জ সহ একটা পরিপূর্ণ বলয়৷
নতুন এই সৌরমণ্ডলে পৃথিবীর সদৃশ গ্রহরা রয়েছে পৃথিবী থেকে ৩৩ আলোকবর্ষ দূরে৷ এটাই আমাদের সৌরমণ্ডলের নিকটতম সৌরমণ্ডল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা৷ যার কেন্দ্রে রয়েছে সূর্যের মতোই একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র৷ বিজ্ঞানীরা এই নক্ষত্রের নাম দিয়েছেন এইচডি ২৬৫৫৷ পৃথিবী যেমন সূর্যের আকর্ষণে তার চারপাশ প্রদক্ষিণ করে চলেছে, তেমনই এই নক্ষত্রের আকর্ষণেও তার চারদিকে ঘুরে চলেছে তার পরিবার৷ তবে এই নক্ষত্র আকারে সূর্যের চেয়ে অনেকটাই ছোট৷ এবং সেটি ক্রমশ উত্তাপ হারিয়ে ঠাণ্ডা হয়ে পড়ছে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা৷
মহাকাশে এই সৌরমণ্ডলটি খুঁজে বার করেছে উপগ্রহ টেস (TESS)৷ গোটা কৃতিত্ব টেস-কেই দিয়েছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা৷ নয়া সৌরমণ্ডলের গ্রহগুলি আকারে পৃথিবীর মতোই৷ এই সৌরমণ্ডলের দুই গ্রহে প্রাণের উপস্থিতি থাকলেও থাকতে পারে বলে মনে করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা৷ এইচডি ২৬৫৫ নক্ষত্রটির তাপ ক্রমশ কমলেও গ্রহ দুটি তার কাছাকাছি থাকায় যেটুকু তাপ নক্ষত্র থেকে পৌঁছচ্ছে, তাতেই গ্রহদুটি যথেষ্ট উত্তপ্ত।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই দুই গ্রহে জল থাকাটা অসম্ভব নয়৷ আর জলই রয়েছে জীবনের সৃষ্টির মূলে৷ তবে পুরো বিষয়টাই আপাতত অনুমানের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ নতুন আবিষ্কৃত সৌরমণ্ডলের দুই গ্রহে আদৌ জল ও প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা, তা জানা সম্ভব হয়নি৷ তবে এই বিষয়ে খোঁজ শুরু করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ নাসার নজরে রয়েছে পৃথিবী সদৃশ এই দুই গ্রহ৷ ১৯৯৮ সাল থেকেই হাই-রেজোলিউশন ইচেল স্পেকট্রোমিচার এইচডি ২৬০৬৫৫ নক্ষত্রের উপর নজরদারি চালাচ্ছে৷