কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইনে ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রাম বন্ধের মুখে ভারতে!

গত ফেব্রুয়ারি মাসে সোশ্যাল মিডিয়া, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং ডিজিটাল খবরের জন্য একগুচ্ছ গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেজন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি নতুন নীতি ঘোষণা করেছিল। সেই গাইডলাইনে নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হচ্ছে ২৫ মে। সেক্ষেত্রে ২৬ মে অর্থাৎ আর ঠিক দুদিন পরেই লাগু হতে চলেছে বিধি-নিষেধনতুন নীতি মেনে চলার জন্য ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো সংস্থাগুলোকে তিন মাস সময়ও দিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলো কিছুই করেনি।

সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট নিয়ে প্রায়ই ক্ষোভ তৈরি হয়। এই ক্ষোভ নিরসনের জন্য তিন স্তরীয় পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি চালু করতে চাইছে কেন্দ্র। নতুন বিধিতে অভিযোগ পেয়ে খতিয়ে দেখার জন্য এক জনকে নিয়োগ করতে হবে সব সংস্থাকে। সেই ব্যক্তি অবশ্যই ভারতের বাসিন্দা হতে হবে। তাঁর নাম, পরিচয় জানাতে হবে কেন্দ্রকে। আপত্তিকর পোস্ট নিয়ে অভিযোগ করা হলে ওই ব্যক্তিই খতিয়ে দেখবেন। 

নতুন বিধিতে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টের ওপর নজর রাখার জন্য একটি কমিটিও গড়া হচ্ছে। সেই কমিটির সদস্য হবেন তথ্যপ্রযুক্তি, আইন, প্রতিরক্ষা, বিদেশ, মহিলা ও শিশু কল্যাণ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। তাছাড়াও কেন্দ্র যুগ্ম সচিব পর্যায়ের এক জন অফিসার নিয়োগ করবেন, যাঁর হাতে কোনও পোস্ট বা কনটেন্ট ব্লক করার ক্ষমতা থাকবে। 

সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোর তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকায় তাদের সদর দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া এখনই এই নীতিতে সায় দিতে পারবে না। এজন্য ৬ মাস সময় চেয়েছে সংস্থাগুলি।