ফের এবার উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো রাজ্যে৷ সকাল সকাল এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল ক্যানিং৷ হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। ২১ জুলাইয়ের আগে পঞ্চায়েত সদস্য সহ ৩ তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় থমথমে ক্যানিং৷ জনবহুল এলাকায় গুলি, মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথাড়ি ভাজালির কোপ৷
মাথা কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা৷ এই ভয়ঙ্কর ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ২৪ ঘন্টা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার হয়নি কোনও অস্ত্র৷ স্রেফ সন্দেহের বশে দু’জনকে আটক করা হয়েছে৷ পুলিশের এই ভূমিকায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম।
গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাঝি সহ ৩ তৃণমূল কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দার-সহ বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ পেতে রাতভর তল্লাশি চালায় পুলিশ৷ কিন্তু তাদের টিকিও মেলেনি৷ ইতিমধ্যেই রফিকুলের বাড়িতে দু’বার হানা দিয়েছে পুলিশ।
কিন্তু, সেখান থেকে তেমন কোনও তথ্য উদ্ধার হয়নি বলেই সূত্রের খবর। রফিকুল কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেননি তার মা। উল্টে রফিকুলের মায়ের দাবি, তল্লাশি চালানোর সময় তাঁকে মারধর করেছে পুলিশ।
এদিকে, তিন তৃণমূল নেতা খুনের পরেই স্থানীয়রা রফিকুলের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়৷ প্রতিবেশিরা জানান, ৮-৯ মাস আগে মাদক মামলায় ছাড়া পেলেও বাড়িতে আসেনি রফিকুল৷ তার পরেই এই খুনের ঘটনা৷ কিন্তু কেন খুন করা হল?
অভিযোগ, গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাঝির দাপটে এলাকায় ঢুকতে পারত না রফিকুল৷ এলাকায় ঢুকলেই পুলিশের কাছে খবর পৌঁছে যেত৷ পথের কাঁটা সরাতেই ছক কষে খুন করা হয় স্বপন মাঝিকে৷ প্রমাণ লোপাটে খুন করা হয় তাঁর দুই সঙ্গীকেও৷ এমনটাই জানা যাচ্ছে প্রাথমিক তদন্তে৷
গত কালকের ঘটনার পর এলাকা এখনও থমথমে। বহু বাড়িতে তালা ঝুলছে৷ এলাকা জনশূন্য। এখনও কেউ গ্রেফতার না হওয়াতে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মানুষের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে দলীয় দফতরের উদ্দেশে বেড়িয়েছিলেন গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাঝি এবং দুই তৃণমূল কর্মী ভূতনাথ প্রামাণিক ও ঝন্টু মাঝি। বাইকে চেপে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা৷ সেই সময় স্বপনের পথ আটকায় দুষ্কৃতীরা। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়৷ তার পর কুপিয়ে খুন করা হয়।