টুইটারে ফিরতে চলেছেন ট্রাম্প

সম্প্রতি পরিবর্তিত হয়েছে টুইটারের মালিকানা। বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে টুইটার কিনে নিয়েছেন মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক। টুইটারের মালিকানা হস্তান্তরের পর থেকেই একে একে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। পুরনো যা নিয়ম ছিল, যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা বহাল থাকবে, না বদল হবে, সেই নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আর এই ভিত্তিতে সবথেকে বড় জল্পনা সৃষ্টি হয় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে। কারণ তাঁকে টুইটার নিষিদ্ধ করেছিল। তবে এলন জমানায় কি তিনি ‘কামব্যাক’ করবেন? প্রশ্ন উত্তরে বড় ইঙ্গিত দিয়েছেন টুইটারের বর্তমান মালিক।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এলন মাস্ক জানান, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপর টুইটারের চাপানো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন তিনি। তাঁর মতে, এই নিষেধাজ্ঞা অনৈতিক এবং নির্বুদ্ধিতার পরিচয় বহন করে। ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছাড়া এটা আর কিছুই নয়। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ে, মাস্কের এই যুক্তিকে সমর্থন জানিয়েছেন টুইটারের প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডর্সি। তাঁর মতে, ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা সত্যিই অনুচিত ছিল। যে কারও ওপর চিরদিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভুল। যদিও তিনি এটাও জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত ছিল। তবে এই ধরণের সিদ্ধান্ত সংস্থার ক্ষতি করে।

সম্প্রতি ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দিয়ে টুইটার কিনেছেন ইলন মাস্ক। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭০২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা। টুইটার কেনার পরেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে বাক স্বাধীনতার ওপর জোর দেবেন। সেই প্রেক্ষিতে ট্রাম্পকে ফেরানোর ইস্যু যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে সকলে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে উপগ্রহের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দিয়েছিল মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স স্টারলিঙ্ক।